'Yimmy Yimmy' আমার জন্মদিনের সেরা উপহার', ফের জ্যাকলিনকে প্রেমপত্র সুকেশের
নিজস্ব প্রতিনিধি: বহুদিন পর ক্যামেরার সামনে এলেন অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। শ্রীলঙ্কিয়ান বংশোদ্ভূত এই অভিনেত্রীর সৌন্দর্যে কাত গোটা বিশ্ব। তাঁকে শেষবার পর্দায় দেখা গিয়েছিল, অক্ষয় কুমারের সঙ্গে 'রামসেতু'-তে। বলিউডে অনেক গুলি ছবি করে ফেললেও এখনও তাঁকে প্রথম সারির অভিনেত্রী বলা যায়না। যাই হোক, সদ্য রিলিজ হয়েছে অভিনেত্রীর মিউজিক্যাল অ্যালবাম 'Yimmy Yimmy'। ইতিমধ্যেই গানটির সংগ্রহে ৪০ মিলিয়ন ভিউজ রয়েছে। অনেকদিন পরে জ্যাকলিনকে সেক্সি অবতারে দেখে রীতিমতো মাথা ঘুরে গিয়েছে ভক্তদের। মাথা ঘুরছে কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরও। জেলে বসেই আবারও অভিনেত্রীর উদ্দেশ্যে প্রেমপত্র লিখে ফেললেন সুকেশ।
দীর্ঘদিন ধরেই ২০০ কোটি আর্থিক জালিয়াতিতে জেলবন্দী সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে নাম জড়িয়ে আছে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। অভিযোগ, অভিনেত্রী সুকেশের থেকে একাধিক দামি উপহার নিয়েছেন, এমনকি তদন্তে নেমেও জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণ করেছে ইডি। এই কারণেই এখনও আইনি জটিলতায় জড়িয়ে আছেন অভিনেত্রী। যদিও সুকেশ বরাবরই অভিনেত্রীকে ভালবাসার কথা জানিয়েছেন। মাঝে মধ্যেই অভিনেত্রীর উদ্দেশ্যে জেলে বসেই প্রেমপত্র লেখেন সুকেশ। এবার নিজের জন্মদিনের আগে, অভিনেত্রীর সদ্য প্রকাশিত গান Yimmy Yimmy-র প্রশংসা করে আরেকটি চিঠি লিখলেন সুকেশ।
তিনি লেখেন, “আমার শিশু আমার জন্মদিনের উপহারের জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। এটিকে তোমার তরফ থেকে আমার জন্মদিনের উপহার বলব। বাবু এটা আমার জীবনে পাওয়া সেরা উপহার। আমি যে উপহারের কথা বলছি তা হল তোমাল সদ্য প্রকাশিত গান Yimmy Yimmy। গানটা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গানের প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি লাইন স্পষ্টভাবে আমার, আমাদের গল্প এবং সামগ্রিকভাবে আমাদের সম্পর্কে। জেনেশুনে, অজান্তে জানি না, কিন্তু সত্যই সত্য। আমাদের সম্পর্কে মানুষের অনেক প্রশ্ন এবং অবাঞ্ছিত মন্তব্য ছিল, তুমি এই গানটি করে সবাইকে চুপ করে দিয়েছ, আমি নিশ্চিত যে সকলেই তাদের উত্তর পেয়েছে। তোমাকে এত সুন্দর লাগছে যে গানটিতে আমার হার্ট বিট অন্য মাত্রায় বেড়ে গেছ।"
সঙ্গে সুকেশ সবাইকে এই গানটিকে ভালবাসতে এবং সমর্থন করতে এবং সর্বাধিক লাইক দিতে বলেছেন। চন্দ্রশেখর আরও বলেছেন যে, যদি এই গানটি হিট হয়ে যায় তবে এটাই তাঁর জন্মদিনের বিশেষ উপহার। সেরা ১০০ জন অনুরাগকে তিনি আইফোন প্রো দেবেন। তিনি আরও লিখেছেন, "বাবু তুমি এবং তোমার উপস্থিতি আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ এবং একমাত্র উপহার। জ্যাকলিন আমার শরীরের প্রতিটি কোষের মধ্যে দিয়ে চলে। জ্যাকুলিন আমার হার্টবিট। জ্যাকলিন আমার শক্তির শক্তি।” এরপর সুকেশ তাকে 'হ্যাপি হোলি' শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠিটি শেষ করেছিলেন।