OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

সুপ্রিম নির্দেশ, কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সরছে মেডিকেল ভর্তির দুর্নীতির মামলা

সুপ্রিম নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে দেশের শীর্ষ আদালতে সরছে রাজ্যের সরকারি মেডিকেল কলেজের সংরক্ষিত আসনে ভর্তির দুর্নীতির মামলা।
11:25 AM Jan 29, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: সুপ্রিম নির্দেশে(Supreme Court) বড় ধাক্কা খেয়ে গেলেন কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Justice Abhijit Gangopadhay)। এদিন অর্থাৎ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টে আর বাংলার সরকারি মেডিকেল কলেজে সংরক্ষিত আসনে ভর্তির ক্ষেত্রের দুর্নীতির মামলার(Medical College Admission Scam) আর কোনও শুনানি হবে না। সেই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। মেডিকেল কলেজে সংরক্ষিত আসনে ভর্তির ক্ষেত্রের দুর্নীতি সংক্রান্ত যে দুটি মামলা কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল ও ডিভিশন বেঞ্চে ছিল সেই দুটি মামলাই এবার একসঙ্গে শুনানি হবে দেশের শীর্ষ আদালতে। আগামী ৩ সপ্তাহ বাদে আবারও এই মামলার শুনানি হবে। এই ৩ সপ্তাহের মধ্যে সব পক্ষকে শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়ে নিজ নিজ বক্তব্য জানাতে হবে। সেক্ষেত্রে যারা নতুন করে এই মামলার পার্টি হতে চান তাঁদেরও সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে নিজ নিজ বক্তব্য জানাতে হবে।

রাজ্যের সরকারি মেডিকেল কলেজের সংরক্ষিত আসনে ভর্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলা দায়ের করে এক পড়ুয়া। সেই মামলা উঠেছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি CBI তদন্তের প্রাথমিক নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে। সেই মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল বিচারপতি সৌমেন সেনের(Justice Soumen Sen) বেঞ্চে। তিনি আবার CBI তদন্তের প্রাথমিক নির্দেশের ওপর মৌখিক স্থগিতাদেশ দেন। কিন্তু তারপরও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পাল্টা নির্দেশ জারি করেন যে CBI আধিকারিকেরা যেন আদালত থেকে নথি সংগ্রহ করে যেন এই দুর্নীতি নিয়ে FIR দায়ের করেন। কিন্তু পরেরদিনই বিচারপতি সৌমেন সেন সেই নির্দেশের ওপরে স্থগিতাদেশ তো দিয়েই দেন, উল্টে CBI আধিকারিকদের নির্দেশ দেন যে নথি আদালত থেকে সংগ্রহ করে তাঁরা FIR করেছেন সেই সব নথি তাঁরা যেন আবারও আদালতে ফেরত দেন। সেই সঙ্গে তিনি CBI’র করা FIR-টিও খারিজ করেন।

তারপরে পরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মূল মামলার রায় দেন এবং সেই রায়ে তিনি যেমন সম্পূর্ণ ভাবে মামলার সঙ্গে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম টেনে আনেন, তেমনি এই দুর্নীতির তদন্তে CBI তদন্তের নির্দেশও বহাল রাখেন। একই সঙ্গে সেই রায়ের মধ্যে বিচারপতি সৌমেন সেনকে নিয়ে বিস্ফোরক সব অভিযোগ আনেন তিনি। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যজুড়ে হইচই পড়ে যায় যার জেরে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুঙ্কে নিয়ে ৫ সদস্যের বিশেষ বেঞ্চও গঠিত হয় মামলার শুনানির জন্য। গত শনিবার ছিল সেই মামলার প্রথম শুনানি। ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও সেদিন আদালত বসেছিল এই মামলার শুনানির জন্য। সেদিনই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, শীর্ষ আদালত যতদিন না নির্দেশ দেয় ততদিন এই দুর্নীতি মামলায় কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না CBI। কোনও তদন্তও করতে পারবে না। একই সঙ্গে তাঁদের নির্দেশ ছিল সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টেও এই মামলার যাবতীয় শুনানি স্থগিত থাকবে।

এদিন অর্থাৎ সোমবার ছিল সেই মামলার দ্বিতীয় শুনানি। উল্লেখ্য, গত শনিবার রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে রায় দিয়েছেন সেই রায়কে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। রাজ্যের সেই আর্জি মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। তার জেরে সেদিনই রাজ্যের তরফে এসএলপি দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। এদিন সেই মামলাটিও মূল মামলার সঙ্গে শুনানির জন্য ওঠে। এদিনের শুনানিতে অভিষেকের তরফে কপিল সিব্বাল জানান, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ইচ্ছাকৃত ভাবে যে সব ঘটনা বা মামলার সঙ্গে তাঁর মক্কেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) কোনও যোগ নেই সেখানেও তাঁর নাম টেনে আনছেন। এটা ঠিক নয়। তাই অভিষেকও এই মামলার পার্টি হতে চান। আবার রাজ্যের আইনজীবী জানান, বাংলার সরকারি মেডিকেল কলেজের সংরক্ষিত আসনে ভর্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতির ঘটনায় ১৪টি ভুয়ো শংসাপত্র পাওয়া গিয়েছে। তার জেরে ৪টি FIR-ও দায়ের হয়েছে। কিন্তু ওই মামলা কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে সরানো হোক। আবার কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল জানান, আরও ১০-১২জন পড়ুয়া এই দুর্নীতির ঘটনায় CBI তদন্ত চেয়ে মামলার পার্টি হতে চায়।

এরপরেই শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় মেডিকেল ভর্তির দুর্নীতির দুটি মামলাই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সরিয়ে সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং আগামী ৩ সপ্তাহ বাদে ফের এই মামলার শুনানি হবে। তার মধ্যে সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিয়ে নিজ নিজ বক্তব্য জানাতে হবে। সেই সঙ্গে যারা এই মামলায় নতুন করে পার্টি হতে চাইছেন তাঁদেরও হলফনামা জমা দিয়ে নিজ নিজ বক্তব্য জানাতে হবে। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত এটাও জানিয়ে দেয় এদিন যে, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চের সংঘাত প্রসঙ্গে তাঁদের পর্যবেক্ষণ, সিঙ্গল এবং ডিভিশন বেঞ্চ নিয়ে যা হচ্ছে তা ঠিক হচ্ছে না। তাই তাঁরা এই ঘটনায় কোনও মন্তব্য কবেন না। মন্তব্য করলে তা হাইকোর্টের গরিমার ওপর তার প্রভাব পড়বে। তাই বিষয়টি আমরা অন্য ভাবে সমাধান করব। কলকাতা হাইকোর্টে কোন মামলা কে শুনবে সেটা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিই ঠিক করবেন। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। এদিনের সুপ্রিম নির্দেশের জেরে সব থেকে বেশি ধাক্কা খেলেন বিচারপতি অভিজিৎ গগ্নোপাধ্যায়, এমনটাই মনে করছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে সব দাবি তুলেছিলেন তার একটিকেও মান্যতা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। উল্টে শীর্ষ আদালত এটা বুঝিয়ে দিল তিনি যা করেছেন তা ঠিক নয়। একইসঙ্গে মূল মামলাটির রায় কার্যকর না করে, CBI তদন্তে স্থগিতাদেশ বজায় রেখে মামলাটিই শীর্ষ আদালত নিজেদের এক্তিয়ারে টেনে নিয়ে চলে এল। 

Tags :
Abhishek BanerjeeCalcutta High CourtCBIJustice Abhijit GangopadhayJustice Soumen SenMedical College Admission Scamsupreme court
Next Article