সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুরি হামলা, গ্রেফতার ১৪ বছর বয়সী কিশোর
নিজস্ব প্রতিনিধি: অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেলেঙ্কারি। মঙ্গলবার সাত সকালে একজন ২২ বছর ছাত্রের ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল একজন ১৪ বছর বয়সী কিশোরকে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ জানিয়েছে যে, তাঁরা মঙ্গলবার সকালে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুরিকাঘাতের পরে একটি ১৪ বছরের কিশোরকে গ্রেফতার করেছে। আর এই ঘটনার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ভবনগুলিকে একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য পুলিশ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সীকে হত্যার চেষ্টার পরে তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। ঘটনার পর অভিযুক্ত হামলাকারী একটি বাসে উঠে পালাতে গিয়েছিল। কিন্তু তাঁকে একটি হাসপাতালের কাছে ধরে ফেলে পুলিশ। এবং তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্ত একে অপরের মধ্যে কি সম্পর্ক ছিল, এবং তাঁরা একে অপরকে আগে থেকেই চিনতেন কিনা তা জানা যায়নি। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই মূহুর্তে ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তাই তদন্ত চলাকালীন পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই থাকবেন তাই এই মূহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্ষগুলি বন্ধ। ওয়ালটন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ কোনো উদ্দেশ্য বা আদর্শ নির্ধারণ করা হয়নি। নিউ সাউথ ওয়েলস জয়েন্ট কাউন্টার টেরোরিজম কমিটি বিষয়টি তদন্ত করছিল, কিন্তু কমিউনিটির জন্য কোনো চলমান হুমকি ছিল না। এই তরুণ ব্যক্তির কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত আদর্শ অজানা, তবে আমি বলব এটি সম্ভবত মিশ্র এবং অস্পষ্ট মতাদর্শ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে। এটা অবশ্যই ধর্মীয়ভাবে সম্পর্কিত কোনো আদর্শ নয়।"
পুলিশ ঘটনাস্থল ঘেরাও করে রেখেছে। তবে এই প্রথম নয়, সিডনিতে প্রায়শই সন্ত্রাস হামলা হয়। সিডনির বন্ডি এলাকায় একটি সমুদ্র সৈকত মলে ছুরির হামলায় নিহত হয়েছিলেন ৬ জন এবং আহত হয়েছেন ১২ জন। এই ঘটনার দুমাস পরে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও এই হামলার ঘটনা ঘটল। এছাড়াও দিন কয়েক আগে একজন ১৬ বছর বয়সী সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিশপকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। এরপর তাঁকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। তদন্তকারীরা ১৫ এপ্রিল ঘটা এই ঘটনার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলার মধ্যে কোনও যোগসূত্র খুঁজে পাননি৷ তার বেশ কয়েকজন কিশোর সহযোগীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত বা পরিকল্পনা করার ষড়যন্ত্র সহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।এরপরেই রাজ্য পার্লামেন্ট জুন মাসে একটি আইন পাশ করেছে। যেখানে ১৪-১৬ বছর বয়সী ছেলেদেরকে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।