প্রচারের জন্যে বিবাহবিচ্ছেদের নাটক হার্দিক-নাতাশার, ক্ষুব্ধ নেটমহল
নিজস্ব প্রতিনিধি: কত নাটক, কত চর্চা! দিন কয়েক ধরেই খবরের শিরোনামে ছিলেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটের হার্দিক পান্ডিয়া এবং সার্বিয়ান মডেল নাতাশা স্ট্যানকোভিচ। বিয়ের আগেই গর্ভবতী হয়ে গিয়েছিলেন নাতাশা সেই খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি বিয়ে করেন হার্দিক পান্ডিয়া-নাতাশা। আর বিয়ের তিন বছরের মাথায় সামাজিকমতে বিবাহ করেন তাঁরা। ২০২০ সালের করোনা মরসুমে আইনিমতে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। এরপর একই বছরের ৩০ জুলাই পুত্র অগস্ত্যকে পরিবারে স্বাগত জানায় তাঁরা। ২০২৩ সালে উদয়পুরে ফের তাঁরা বিয়ে করেন। যাই হোক ভালই চলছিল তাঁদের সংসার। কিন্তু সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল, বিয়ের ৪ বছরের মধ্যেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হার্দিক-নাতাশা। আর গুঞ্জন ছিল যে, তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে ঢুকে গিয়েছেন তৃতীয় ব্যক্তি।
কিন্তু ডিভোর্সের বিষয়ে হার্দিক-নাতাশা কেউই কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দেননি। যাতে ভক্তরাও দ্বিধায় পড়ে যান। কিন্ত সম্প্রতি এই গুঞ্জনের অবসান ঘটায় নাতাশা নিজেই, তিনি মুছে দেওয়া তাঁদের বিয়ের ছবিগুলি পুনরায় ইনস্টাগ্রামে রিস্টোর করেন। এরপরেই শান্তি পায় ভক্তরা। হার্দিক-নাতাশার দাম্পত্য জীবনের সবই ঠিক আছে। কিন্তু বিরোধী নেটিজেনরা কোনও না কোনও দোষ তো খুঁজেই পান সবদিক থেকে। কেননা, এবারে IPL-এ মুম্বই ইন্ডিয়ানসের খুব খারাপ পারফরম্যান্স ছিল। যার অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তাই অনেকেই বলছেন, IPL-এ নিজের খারাপ পারফরম্যান্স দেওয়ার জন্যেই বিশ্ববাসীর ট্রোলের হাত থেকে বাঁচতে তাঁদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন রটিয়ে বিশ্ববাসীর মন ঘুরিয়েছেন হার্দিক। যাতে বিচ্ছেদের গুঞ্জনের আড়ালে ঢেকে যায় তাঁর খারাপ পারফরম্যান্সের জট। যা নিয়ে নেটমহলের একটি বড় অংশ হার্দিককে রীতিমতো তুলোধনা করেছে। আদৌ তাঁদের কোনও বিচ্ছেদ হয়নি। নেটপাড়ার মন ঘোরাতে এই নাটকটি করলেন হার্দিক-নাতাশা। ১ জুন থেকে নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে T20 বিশ্বকাপ।
তাই এই মূহুর্তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রশিক্ষণে ব্যস্ত হার্দিক। অন্যদিকে নাতাশারর সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম গল্পে, তিনি একটি পান্ডা সোয়েটার পরা তার পোষ্যের ছবি শেয়ার করেছেন এবং লিখেছেন "বেবি রোভার পান্ডিয়া।" সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, হার্দিক-নাতাশার বিচ্ছেদের গুজবের বিপরীতে অভিনেত্রী তাঁর নামের পাশ থেকে পান্ডিয়া উপাধিটি ছেড়ে দেননি, যা দেখে ভক্তরা আনন্দিত! কিন্তু ট্রোলাররা তাঁদের নিন্দা করার কোনও সুযোগই ছাড়ছেন না। নাতাসার পোস্টটি ইনস্টাগ্রামে পাপারাজ্জি দ্বারা পুনরায় শেয়ার করা হয়েছিল, তখন বেশ কয়েকটি ট্রোলার অভিযোগে বলে, এই গুজব বিবাহবিচ্ছেদটি নাতাশা এবং হার্দিক দ্বারা পরিচালিত একটি প্রচার স্টান্ট ছাড়া কিছুই নয়।