টিকে থাকার জন্য বাবর আজমদের চাই ১০৭ রান
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউইয়র্ক: টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘বাঁচা-মরা’র ম্যাচে ফের বল হাতে আগুন ঝরালেন পাকিস্তানের পেসাররা। মহম্মদ আমির-নাসিম শাহ- হ্যারিস রউফদের বোলিং তোপে ১০৬ রানেই থামল কানাডার ইনিংস। অ্যারন জনসন অর্ধশতরান না করলে আরও লজ্জায় পড়তে হত কানাডাকে।
মঙ্গলবার রাতে ‘বাঁচা-মরার’ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে কানাডাকে ব্যাট করতে পাঠান পাক অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শাহিন আফ্রিদি-মহম্মদ আমির-নাসিম শাহ-হ্যারিস রউফদের বোলিং তোপের মুখে পড়েন কানাডার ব্যাটাররা। তৃতীয় ওভারেই নবনীত ঢালিওয়ালকে (৪) ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কা দেন আমির। সেই ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি বিশ্ব ক্রিকেট আঙিনার শিক্ষানবিশ দল। তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে কানাডার টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটিং। পারগত সিংকে (২) ফেরান শাহিন আফ্রিদি। রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন নিকোলাস কীর্তন (১)। দশম ওভারে বল করতে এসে কানাডাকে জোড়া ধাক্কা দেন হ্যারিস রউফ। তৃতীয় বলে ফেরান শ্রেয়স মোভাকে (২)। আর পঞ্চম বলে ফিরিয়ে দেন রবীন্দর পাল সিংকে (০)। ৫৪ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে কানাডা।
একের পর এক সতীর্থকে সাজঘরে ফিরতে দেখে একা কুম্ভ হয়ে পাকিস্তানের বোলারদের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করতে থাকেন অ্যারন জনসন। প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। ১৪তম ওভারে বল করতে এসে জোনসকে ফিরিয়ে কানাডার ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দেন নাসিম শাহ। আউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে চারটি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে ৫২ রান করেন জনসন। কানাডার অধিনায়ক সাদ বিন জাফরকে (১০) ফেরান মহম্মদ আমির। শেষের দিকে কালিম সানা (অপরাজিত ১৩) ও ধীলন হাইলগার (আপরাজিত ৯) শেষের দিকে খানিকটা চালিয়ে খেলে দলকে শতরানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত সাত উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান তোলে কানাডা। পাকিস্তানের হয়ে মহম্মদ আমির ১৩ রানে ২টি এবং হ্যারিস রউফ ২৬ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন।