ঘরে থাকুন, বাড়ি থেকে কাজ করুন: তামিলনাড়ুর সরকার
নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিচাউং’। ইতিমধ্যেই জলমগ্ন তামিলনাড়ুর বেশ কিছু অঞ্চল। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণেই তামিলনাড়ু সরকার একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে। যার মধ্যে অন্যতম হল মানুষকে ঘরে থাকতে এবং বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ। এছাড়াও ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখা, দরকারি জিনিসপত্র ও সরকারী কাগজপত্র সব কিছু জলরোধী ব্যাগে গুছিয়ে রাখা, গাছের নীচে আশ্রয় নেওয়া থেকে বিরত থাকা, অ-পচনশীল খাদ্য সামগ্রী, জল এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহ করে রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দেশলাই বক্স, টর্চ, ব্যাটারি, শুকনো খাবার, ছুরি, ওষুধ এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম হাতের কাছেই গুছিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই চেন্নাই এবং চেন্নাই সংলগ্ন তিনটি জেলার স্কুল, কলেজ এবং সরকারী অফিসগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। চেন্নাইয়ের বেশিরভাগ অংশ জলে ডুবে গেছে। ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল দুপুরে নেল্লোর এবং মাচিলিপত্তনমের মধ্যে আঘাত হানতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গণপরিবহন পরিষেবা বিঘ্নিত। মৎস্যজীবীদের ৪ থেকে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে গভীর সমুদ্রে না যেতে বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ১২১টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং প্রায় ৫,০০০ ত্রাণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। যারা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে রয়েছে তাদের সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। কালেক্টরদের নাগাপট্টিনাম, থিরুভাল্লুর, কুড্ডালোর, চেঙ্গালপট্টু এবং চেন্নাই জেলাগুলিতে মনোনিবেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিরুভাল্লুর, চেঙ্গালপট্টু এবং চেন্নাই জেলার ১১টি শিবিরে মোট ৬৮৫ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উত্তর উপকূলীয় তামিলনাড়ু, চেন্নাই, চেঙ্গালপট্টু, কাঞ্চিপুরম, নাগাপট্টিনাম এবং কুড্ডালোর জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে।