তমলুকে ভিক্ষার অছিলায় চুরির চেষ্টা, তিনজনকে গণধোলাই দিল জনতা
নিজস্ব প্রতিনিধি ,তমলুক: বারাসত, সল্টলেক বউবাজারের পর ফের গণপিটুনির ঘটনা ।এবার ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক(Tamluk)।চুরি করতে এসে সোমবার দুপুরে ধরা পড়ে কপালে জুটলো বেদম মার। তবে এক্ষেত্রে চোরেরা সকলেই মহিলা। ৩ চোরকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।তমলুকের নিশ্চিন্তবসান গ্রামের দীপালি বেরার বাড়িতে চুরি করতে এসে ধরা পড়ল দুই মহিলা সহ এক বাচ্চা। দিপালী বেরার অভিযোগ, সোমবার দুপুরবেলা তিনি বাড়িতে একা ছিলেন ।সেই সময় তিনজন তার বাড়িতে আসে ভিক্ষার নাম করে। তিনি সেই সময় ঘুমাচ্ছিলেন।
তিনি দেখেন দুইজন তার বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তিনি যখন সেই দুজনের সাথে কথা বলছিলেন, তখন দেখেন আরেকজন বাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে। তিনি চিৎকার চেঁচামেচি করলে পাড়ার লোকজন জমায়েত হয়ে যায়। সেই সময় ওই মহিলার ছেলেও চলে আসে।তিনজনকেই ধরে ফেলে প্রতিবেশীরা। দুই মহিলার হাত পিছমোড়া করে বেঁধে দেয়। ব্যাপক মারধর শুরু করে। মারধরের ফলে তারা স্বীকার করে গয়নার ব্যাগ কোথায় রেখেছে। গয়নার ব্যাগ পাওয়ার পরে পুলিশকে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়। রাজ্যে ক্রমাগত জেলায় জেলায় বেড়ে চলেছে চোর সন্দেহে গণপ্রহারের ঘটনা।
হুগলি জেলা তারকেশ্বরে চোর সন্দেহে গণপ্রহারে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এদিকে ঝাড়গ্রামে চোর সন্দেহে গণপ্রহারে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সবার প্রথম বারাসতে কাজীপাড়ায়(Kajipara) ছেলেধরা সন্দেহে গণপ্রহারের ঘটনা শুরু হয়। ধীরে ধীরে বারাসত(Barasat) থেকে গোপালনগর, অশোকনগর, পেট্রোপোল, হাবড়া ,সল্টলেক ,কলকাতার বউবাজারে এবং হুগলি জেলার পান্ডুয়ার পর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে। জনগণের মধ্যে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তিত প্রশাসন।