জনসমুদ্রে ভাসতে-ভাসতে ওয়াংখেড়ে পৌঁছলেন রোহিতরা
নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরে সাধারণ মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হলেন রোহিত শর্মা-রাহুল দ্রাবিড়রা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নরিম্যান পয়েন্ট থেকে মেরিন ড্রাইভ হয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে পৌঁছতে গিয়ে কার্যত গলদঘর্ম হতে হয়েছিল বিশ্বজয়ীদের। কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তার পাশে অপেক্ষায় থাকা মানুষের ভালবাসা দেখে নিজেদের আর গাম্ভীর্যের গণ্ডিতে বন্দি করে রাখলেন না রোহিত-দ্রাবিড়রা। শিশুর মতো তাঁরাও নাচলেন, ঐতিহাসিক মুহুর্তের ছবি তুললেন।
১৩ বছর বাদে স্বপূরণের নায়কদের একবার চাক্ষুস করতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুপুর থেকেই নরিম্যান পয়েন্ট থেকে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভে জড়ো হয়েছিলেন হাজার-হাজার ক্রিকেট ভক্ত। বিকেলের মধ্যেই কানায়-কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। সন্ধে ছয়টা বেজে কুড়ি মিনিটে রোহিত শর্মাদের নিয়ে মুম্বই বিমানবন্দরের মাটি ছোঁয় বিশেষ বিমান। ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিমান মুম্বই বিমানবন্দর ছুঁতেই দেওয়া হল ওয়াটার ক্যানন স্যালুট। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন বিমানের দু’দিকে দাঁড়িয়ে এই ওয়াটার ক্যানন স্যালুট দেয়। বিমানের সামনে তিনটি গাড়ি ছিল।
মুম্বই বিমানবন্দর থেকে বাসে নরিম্যান পয়েন্টে যান রোহিত, বিরাটরা। সেখানে বিশেষ হুডখোলা বাসে চাপেন বিশ্বজয়ীরা। সেই বাসে চেপে প্রায় ২ কিমি পথ পরিক্রমা করে ভরতীয় দল। আরব সাগরের তীরে তখন জনসমুদ্র। রোহিতদের দেখতে রাস্তার ধারে গাছের উপরেও উঠে পড়েছিলেন অনেকে। সবাই একবার বিশ্বজয়ীদের চোখের দেখা দেখতে চাইছেন। ফ্যানেদের নিরাশ করলেন না রোহিত-বিরাট-হার্দিকরা। নেচে-গেয়ে ফ্যানেদের সঙ্গে গা ভাসালেন। জনসমুদ্রের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের দিকে এগোতে থাকে রোহিতদের হুডখোলা বাস। সাধারণ মানুষের ভিড় হঠিয়ে রোহিতদের বাসের জন্য রাস্তা করে দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। ১০ মিনিটের রাস্তা পেরোতে লাগল দু’ঘন্টার বেশি সময়। সাড়ে আটটা নাগাদ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে পৌঁছন বিশ্বজয়ীরা। আর রোহিতদের দেখেই জনগর্জন ওঠে। সেই জনগর্জনে কান পাতা দায় হয়ে উঠেছিল।