বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে কোমর বেঁধে নামছে প্রশাসন, চলবে অভিযান
নিজস্ব প্রতিনিধি: বাজারে গেলেই পকেট খালি। জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কিলো দরে। চন্দ্রমুখী আলু ৪০/৪৫ টাকা কিলো। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কিলো দরে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কিলো দরে। পটল প্রতি কিলো ৪০-৫০ টাকা দরে। ঢেঁড়শের দাম কিলো-প্রতি ৬০ টাকা ছাড়িয়েছে। কাঁচা পেঁপের দাম ৫০ টাকা কিলো। আদার দাম প্রতি কিলো ২৫০ টাকা। রসুনের দাম কিলোয় ৩০০ টাকা ছুঁয়েছে। টম্যাটো বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা কিলো দরে। সব মিলিয়ে বাজার করতে গিয়ে আমজনতার পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কার্যত রাজ্যে রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শাকসবজির দাম। আর তাতেই নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে কেউ যাতে কালোবাজারি(Black-Market) করতে না পারে তার জন্যে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এর জন্য তিনি তাঁর প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে(Market Price Control) কোমর বেঁধে নামছে রাজ্য প্রশাসন। কেউ অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন কিনা, তার ওপরে নজর রাখতে রাজ্য কৃষি বিপণন দফতরের(Agricultural Marketing Department) আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মাঠে নেমে বাজারে ঘুরে ঘুরে অভিযান চালাতে তিনি নির্দেধ দিয়েছেন এনফোর্সমেন্ট বিভাগকেও(Enforcement Division)। শুধু তাই নয়, সূত্রের দাবি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব শীঘ্রই টাস্ক ফোর্সের বৈঠকও ডাকতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিকদের অভিমত, বাজারে শাকসবজির থেকেও তাঁদের এখন সব থেকে বড় মাথা-ব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে আলু-পেঁয়াজের দাম। এ বার যেহেতু শুরুতে চাষিদের থেকে বেশি দামে আলু কিনতে হয়েছে, সে জন্যে গতবারের তুলনায় দাম একটু বেশি থাকবে। কিন্তু সেটা এত বেশি নয় যে হারে এখন আলু বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আবার পেঁয়াজ যে দামে বিক্রি হচ্ছে, সেটাও একেবারেই অস্বাভাবিক।
এ অবস্থায় সাধারণ মানুষকে রিলিফ দিতে জেলা থেকে সরাসরি চাষিদের থেকে পেঁয়াজ কিনে এনে ‘সুফল বাংলা’র স্টলে বিক্রি করছে সরকার। সুফল বাংলার স্টলে পেঁয়াজের দাম কিলোপ্রতি ৪৫ টাকা। একই ভাবে বাজারের থেকে কম দামে সুফল বাংলায় আলু এবং অন্যান্য শাক-সব্জিও বিক্রি করছে রাজ্য কৃষি বিপণন দফতর। জেলা থেকে কম দামে পেঁয়াজ সংগ্রহের জন্যে বর্ধমানের কালনা, পূর্বস্থলী এবং মুর্শিদাবাদের স্থানীয় চাষিদের সঙ্গে কৃষি বিপণন দফতরের চুক্তি হয়েছে। সপ্তাহে গড়ে চার টন করে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে জেলা থেকে। চাহিদা বাড়লে এই পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে। আবার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের গঠিত টাস্ক ফোর্সের তরফে রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, ‘যে সব শাকসবজি এখানে উৎপাদিত হয় না সেগুলির জোগান কমলে অনেক সময়ে দাম বেড়ে যায়। কিন্তু আলুটা আমাদের রাজ্যেই উৎপাদিত হয়। তার দাম এতটা বাড়ার কথা নয়। এ ব্যাপারে আমরা কৃষি বিপণন দফতরের সচিবকে চিঠি দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীকেও সবটা জানাব।’