For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

রিমলের আশির্বাদ ঝরছে সন্দেশখালিতে, আশায় জমি ফেরত পাওয়া কৃষকেরা

রিমলের হাত ধরে যে অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে তা সন্দেশখালির দখল হয়ে যাওয়া সব জমির লবণাক্ত ভাব অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
02:31 PM May 27, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
রিমলের আশির্বাদ ঝরছে সন্দেশখালিতে  আশায় জমি ফেরত পাওয়া কৃষকেরা
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেওয়া ঘূর্ণিঝড় গতকালই আছড়ে পড়েছে বাংলার বুকে। সুন্দরবনের ওপর দিয়ে দুই ২৪ পরগনা ছুঁয়ে নদিয়ার প্রান্তদেশ দিয়ে তা চলে যাচ্ছে বাংলাদেশের গভীরে। সেই ঘূর্ণিঝড় রিমলের(Cyclone Rimal) হাত ধরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি(Sandeshlhali) এলাকায় গতকাল থেকেই বৃষ্টি ঝরে চলেছে অঝোর ধারায়। আর সেই বৃষ্টিই এখন আশির্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে সন্দেশখালিতে জমি ফেরত পাওয়া কৃষকদের(Farmers) কাছে। শেখ শাহজাহান(Sheikh Sahajahan) আর তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে কৃষিজমি দখল করে ভেড়ি বানিয়ে নদীর নোনা জল ঢুকিয়ে মাছ চাষের প্রচুর অভিযোগ ছিল। পরে আন্দোলনের জেরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সন্দেশখালি, বেড়মজুর ১ ও ২ পঞ্চায়েতের অনেকেই দখল হওয়া জমি ফিরে পেয়েছেন। জমি থেকে জল বের করা হয়েছে। কিন্তু লবণাক্ত হয়ে যাওয়া মাটিতে(Salted Soil) কবে আবার ফলন হবে, তা নিয়ে কৃষকদের চিন্তা ছিল। জমি হাতে পেয়েও সেখানে চাষ করতে না পেরে রীতিমত অসহায় হয়ে পড়েছিলেন কৃষকেরা। তার জেরে তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে দাবি করেছিলেন জমি চাষযোগ্য করে দিতে। তবে রিমলের জেরে সেই জমির লবণাক্ত ভাব অনেকটাই কমে যেতে চলেছে। আর তাই কৃষকদের চিন্তাও দূর হচ্ছে।

Advertisement

সন্দেশখালির চাষিদের জমির অনুর্বরতা প্রসঙ্গে কৃষি অধিকারিকদের দাবি, লবণাক্ত জমির জন্য মাটির যে উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে যায় তা ফিরতে যথেষ্ট সময় নেয়। জমিতে জল দাঁড়িয়ে পচে গেলে সেই জমির উর্বরতাও চিরতরেই নষ্ট হয়ে যায়। আয়লার জেরে এখনও সুন্দরবনের বহু জমি এভাবে নষ্ট হয়ে পড়ে গিয়েছে। সন্দেশখালিতে বহু জমিকে ভেড়ি বানিয়ে মাছ চাষ করা হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ভেড়িতে নিয়মিত জল পাল্টাতে হয়। সেখানে তাই জল পচে যাওয়ার ঘটে না। তবে এক্ষেত্রে নোনা জলের দরুণ মাটির উর্বরতা অনেকটাই নষ্ট হয়েছে। কিন্তু ভারী বৃষ্টিতে সেই লবণাক্ত ভাব অনেকটাই কেটে যাবে। এখন রিমলের হাত ধরে যে অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে তা ওই সব জমির লবণাক্ত ভাব অনেকটাই কমিয়ে দেবে। তারওপর সামনে বর্ষা। সেখানেও জমিতে নতুন করে মিঠা জল দাঁড়াবে। সেই জল কার্যত জমির উর্বরতা ফেরাতে অনেকটাই সহায়ক হয়ে উঠবে।   

Advertisement

বসিরহাট মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ একর জমি অন্তত ১২০ জন কৃষককে ফেরানো হয়েছে। জেলিয়াখালির এক জায়গায় বহু বছর ধরে প্রায় ৪০০ বিঘা জমিতে মাছ চাষ হচ্ছে। মালিকদের আর্জিতে সেই জমিও ফেরানোর কাজ চলছে। জমি ফেরত পাওয়া চাষীদের বক্তব্য ছিল, ধান জমি দখল করে মাছ চাষ করা হচ্ছিল। সেই জমি সরকার ফিরিয়ে দিলেও যে ভাবে নোনা জল ঢোকানো হয়েছিল, তাতে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়েছে। আগে দু’বার ধান হত। এখন কোনও চাষই হবে না। জমির জল নিকাশি ব্যবস্থাও দফারফা। কোথাও কোথাও আবার জমিতে থাকা মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে এখন প্রায় ৬০-৭০ ফুটের গর্ত। এখন সেই সব জমি মাটি ফেলে উঁচু না করলে কোনও ভাবেই চাষ করা যাবে না। আর সেই মাটি ভরাট করতে লাখ লাখ টাকার খরচ। সেই আর্থিক ক্ষমতা তাঁদের নেই। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সন্দেশখালিতে যে সব জমিতে ভেড়ি করা হয়েছিল, সেখানে আগামীদিনে অবশ্যি ফের ধান চাষ করা যাবে। ওই সব জমি যদি দু’বছর বৃষ্টি পায় এবং সেই জল নিকাশি নালার মাধ্যমে বেরিয়ে যায়, তবে লবণাক্ত ভাব অনেকটা কমে যাবে। তারপরে আবার চাষ হবে। এখন ধৈঞ্চা চাষ করলে নোনা কাটবে, জমি উর্বর হবে। জমি পরীক্ষা করে সেই মতো চাষ করা উচিত।

Advertisement
Tags :
Advertisement