কলকাতার ধর্মতলা থেকে পাকাপাকি ভাবে সরছে বাস টার্মিনাস
নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। তবে সেই নির্দেশের সঙ্গে কোনও সময়সীমা জুড়ে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার শুরু হয়ে গেল স্থানান্তকরণের প্রক্রিয়া। তবে একসঙ্গে নয়। ধাপেধাপে। সরে যাচ্ছে কলকাতার(Kolkata) ধর্মতলার(Esplanade) বাসস্ট্যান্ড এবং বাস টার্মিনাস(Bus Stand and Bus Terminus)। পরিবেশ দূষণ জনিত কারণে এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ক্ষতি দেখে কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল ধর্মতলা চত্বরে উনুনে আঁচ দিয়ে রান্না করা যাবে না এবং সেখানকার বাসস্ট্যান্ড ও বাস টার্মিনাস দুইই সরিয়ে নিতে হবে। যদিও সেই রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে রাজ্য সরকারও হাতগুটিয়ে বসে থাকেনি। তাঁরাও বাসস্ট্যান্ড ও টার্মিনাস সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বেসরকারি বাস মালিকদের সঙ্গে। চলতি সপ্তাহেই রাজ্য পরিবহণ দফতরের(West Bengal State Transport Department) তরফে ৭০টি বাসকে অন্যত্র পার্কিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনে ধর্মতলা থেকে বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড এবং সরকারি বাসের টার্মিনাস সরানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই বাসস্ট্যান্ড ও টার্মিনাস সরিয়ে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে সেটা এখনও নিশ্চিত হয়নি। যদিও চলতি সপ্তাহেই ৭০টি বেসরকারি বাসের মালিকদের নোটিস ধরানো হয়েছে ধর্মতলার পরিবর্তে অন্য কোথাও তাঁদের বাস পার্কিংয়ের জন্য। সম্প্রতি রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর ডাকে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আয়োজিত হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি বাস মালিকরা, PWD-এর আধিকারিকরা, পরিবহণ দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা, পরিবহণ দফতরের সচিব সৌমিত্র মোহন এবং PWD-এর সচিব অন্তরা আচার্য। সেই বৈঠকেই ঠিক হয়, সাঁতরাগাছিতে বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সরকারি বাস টার্মিনাস সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে হাওড়ার ফরশোর রোডের ডিপোতে।
যদিও বেসরকারি বাস মালিকেরা সাঁতরাগাছি থেকে তাঁদের যাত্রা শুরু করতে বা শেষ করতে রাজী হচ্ছেন না কিছুতেই। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের হাতে বিকল্প কোনও রাস্তা না থাকায় তাঁরা ৭০টি বেসরকারি বাস মালিকদের নোটিস ধরান ধর্মতলার পরিবর্তে অন্য কোথাও তাঁদের বাস পার্কিং করার জন্য। যদিও সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সব বাস মালিকেরা যৌথ ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বাস বসিয়ে দেওয়ার জন্য। কেননা তাঁদের দাবি, তাঁরা ধর্মতলা থেকে যাত্রী পান। অন্য কোথাও গেলে তা তাঁরা পাবেন না। তাঁদের ব্যবসা মার খাবে। বড়সড় লোকসানের মুখে পড়বেন তাঁরা। যদিও রাজ্য সরকার আর বেসরকারি বাস মালিকদের বেশি সময় দিতে চাইছে না। তাঁরা ধাপে ধাপে ধর্মতলা থেকে বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড এবং সরকারি বাস টার্মিনাস সরিয়ে নিতে চাইছেন।