বিদ্বজ্জনদের কোনও বৈঠকই ডাকেননি মুখ্যমন্ত্রী, জানিয়ে দিলেন কুণাল
নিজস্ব প্রতিনিধি: খবর ছড়িয়েছিল এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নবান্নে(Nabanna) সভাঘরে নাকি বিকাল ৪টের সময় রাজ্যের বিদ্বজ্জনদের নাকি বৈঠক(Meeting with Intellectuals) ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। কিন্তু কিন্তু কী বিষয়ে বৈঠক, তা নিয়ে কোনও মহল থেকেই কিছু বলা হয়নি। ফলে অনেকেই ধরে নেন, রাজ্যে সাম্প্রতিক গণপিটুনির ঘটনা বাড়তে থাকা বা বাংলায় বাঙালির ‘সত্তা’ নষ্ট হওয়ার মতো সাম্প্রতিক কিছু ‘বিতর্কিত’ বিষয়ে বিদ্বজ্জনদের মতামত নিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই জন্যই তিনি বৈঠক ডেকেছেন। সেই বৈঠক ঘিরে জটিলতা আরও বাড়ে যখন জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে যে মুখ্যমন্ত্রী বেছে বেছে বিশিষ্টদের বৈঠকে ডেকেছেন। সেই বৈঠকের ঘন্টা ২-৩ আগেই এবার বোমা ফাটালেন কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। আর সেটাও নাকি খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিদ্বজ্জনদের কোনও বৈঠকেই আমন্ত্রণ জানাননি। এদিন তেমন কোনও বৈঠকও হচ্ছে না। একটি গণসংগঠনের(Non Political Organization) তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চাওয়া হয়েছিল। মাননীয়া তাঁদের সময় দিয়েছেন মাত্র।
জানা গিয়েছে, রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুরা মিলে ‘দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ’ বলে একটি সংগঠন তৈরি করেছেন। তাতে রয়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতীরা। সেই সংগঠন লোকসভা ভোটের আগে থেকেই বিজেপি-বিরোধী প্রচারে ‘সক্রিয়’ ভূমিকা নিয়েছিল। তৃণমূল সূত্রের খবর, সেই সংগঠনের তরফেই মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে দেখা করার জন্য সময় চাওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সেই সময় দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে থেকে কাউকে কোনও বৈঠকে ডাকেননি। তাছাড়া রাজ্যের বিদ্বজ্জনদের অনেকেই ওই সংগঠনে নেই। তবে তাঁরা ‘সরকার-ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত। ফলে তাঁদের অনেকের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী বোধহয় বেছে বেছে বিশিষ্টদের বৈঠকে ডেকেছেন। যা মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ‘অস্বস্তিকর’ বলে অভিমত শাসকদলের প্রথম সারির নেতাদের অনেকের। দোলা-পূর্ণেন্দুদের ওই সংগঠনও বিবৃতি দিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে। তাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর নাম ‘জড়িয়ে’ যে ভাবে বৈঠকের কথা বলা হয়েছে, তা ঠিক নয়।
এদিন কুণাল জানিয়ে দিয়েছেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বিকেলে বৈঠকে বসছেন এবং নানা বিষয়ে মতামত নেবেন বলে একটি খবর প্রচারিত হচ্ছে। এটি ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক। একটি গণসংগঠনের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চাওয়া হয়েছিল। মাননীয়া তাঁদের সময় দিয়েছেন, দেখা করবেন। এইটুকুই। এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সব শ্রদ্ধেয় বুদ্ধিজীবীকে ডেকেছেন এবং সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে মতামত নেবেন বলে যে ধারণা ছড়ানো হচ্ছে, তার সম্পর্ক নেই। মুখ্যমন্ত্রী কাউকে এমন বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাননি। তিনি শুধু ওই সংগঠনের অনুরোধে তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি তাঁদের কোনও মতামতও নেবেন না। সূত্রের খবর, স্বয়ং মমতার ‘বার্তা’ পেয়েই কুণাল ওই কথা জানিয়েছেন। শাসকদল সূত্রের খবর, বিষয়টি স্পষ্ট করতেই বিবৃতি দিয়েছেন কুণাল।