For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

‘অসমের মুখ্যমন্ত্রীই বলেছেন CAA করে কোনও লাভ হবে না’, দাবি মমতার

হিমন্তের মন্তব্যকে CAA প্রসঙ্গে হাতিয়ার বানালেন মমতা। তিনি জানান, ‘অসমের মুখ্যমন্ত্রীই বলেছেন CAA করে কোনও লাভ হবে না।’
03:48 PM Mar 13, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
‘অসমের মুখ্যমন্ত্রীই বলেছেন caa করে কোনও লাভ হবে না’  দাবি মমতার
Courtesy - Facebook and Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত সোমবার অর্থাৎ ১১ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লাগু হয়েছে Citizenship Amendment Act বা CAA। অনেকেই একে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বলেও চেনেন। সেই আইন লাগু হওয়ার পরে পরেই বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে অসমে(Assam)। ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে পথে নেমেছে অনেকেই। আন্দোলনকারীদের একটা বড় অংশের আশঙ্কা, CAA হওয়ার পরে পরই National Register of Citizens বা NRC-ও হবে। সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নেমেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা(Himant Biswa Sharma)। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি অসমের পুত্র। যদি একজনও NRC-র আবেদন না করে নাগরিকত্ব পান, তবে আমি সবার প্রথমে ইস্তফা দেব।’ হিমন্তের এই মন্তব্যকেই এদিন অর্থাৎ ১৩ মার্চ CAA প্রসঙ্গে হাতিয়ার বানালেন বাংলার(Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তিনি জানান, ‘অসমের মুখ্যমন্ত্রীই বলেছেন CAA করে কোনও লাভ হবে না।’

Advertisement

হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছিলেন, ‘যদি এমন কিছু হয়, তবে আমি প্রথম ব্যক্তি হব যে এর প্রতিবাদ করবে। ২০১৪ সালের পর যারা ভারতে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। কেউ নিজেকে বিদেশি বলে পরিচয় দিতে চান না। বরাক ভ্যালির তিন জেলা থেকে হয়তো ৫০-৬০ হাজার আবেদন জমা পড়বে। ব্রহ্মপুত্র ভ্যালির জেলাগুলি থেকে সেই সংখ্যাটা খুবই কম হবে। CAA নিয়ে নতুন কিছু তো বলা হয়নি। আগেই এই আইন তৈরি হয়েছিল। এবার সময় এসেছে পোর্টালে আবেদন করার। পোর্টালের তথ্যই এবার কথা বলবে। যারা এই আইনের বিরোধিতা করছেন, তাদের দাবি সত্যি কি না, তাও স্পষ্ট হয়ে যাবে। এক মাসের মধ্যেই সবাই জানতে পারবেন যে লাখ লাখ মানুষ নাগরিকত্বের আবেদন করেছেন নাকি কয়েক হাজার। আমি CAA’র সমর্থক ও বিরোধী-উভয়কেই সম্মান করি, কিন্তু CAA নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এবার সময় এসেছে দাবি প্রমাণ করার। ২০১৯ সালের ওই হিংসা আন্দোলনে যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল, তার জন্য কে দায়ী, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।’

Advertisement

হেমন্তের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার বানিয়েছেন মমতা। এদিন শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় ফেরার আগে উত্তরকন্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। সেখানেই তিনি জানান, ‘CAA, NRC আমরা মানব না। আমি আধার কার্ড বাতিল নিয়ে যেই চেপে ধরতে শুরু করলাম ওরা বন্ধ করে দিল। আমি আমার বাবা-মায়ের জন্মদিন জানি না৷ তো বার্থ সার্টিফিকেট কী করে নিয়ে আসব? মানুষ কে হ্যারাস করা আমাদের লক্ষ্য নয়। তাই আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে। সারা বিশ্বজুড়ে আপনারা দেখেছেন কী নিয়ম আছে। কী ভাবে তারা সিটিজেন কার্ড দেয়। বিল পাস হয়েছে ৪ বছর আগে। আমি রুল দেখে সন্তুষ্ট নই। অসমের মুখ্যমন্ত্রীও বলেছে এটাতে কোনও লাভ নেই। এটা একটা ছাপ্পা, ভাপ্পা, ধাপ্পা। কিন্তু, আমরা মানুষের অধিকার নিতে দেব না৷ কাল কে বলেছে কিছু করা হবে না, সেটা আইনে নেই কেন? এটা পলিটিক্যাল গিমিক শুধু। নির্বাচনের আগে কয়েকটা আসন পাবে তাই করছে৷ এটা মানুষকে আতঙ্ক সৃষ্টি করা। তাই যেটা আতঙ্ক সৃষ্টি করে সেটা আমরা প্রতিবাদ করছি। আমি শুধু এটা বলব CAA এর সঙ্গে NRC -এর সম্পর্ক আছে। বর্ণবৈষম্যের CAA মানি না। নাগরিকত্ব দিতে গিয়ে কাউকে হেনস্তা করা আমরা সমর্থন করি না। আমরা সর্বধর্ম সমন্বয়ের পক্ষে, কাউকে বঞ্চিত করার বিপক্ষে। কেউ অধিকার পেলে আমরা খুশি হই, কিন্তু কারোর অধিকার কেড়ে নেওয়া হলে আমরা রুখে দাঁড়াবই। প্রয়োজনে নিজেদের জীবন দিতেও দ্বিধাবোধ করবো না। বাংলায় আমরা CAA NRC করতে দেব না।’

Advertisement
Tags :
Advertisement