যার নিশানা হত না লক্ষভ্রষ্ট, রামের বিখ্যাত ধনুকের বিশেষত্ব কী?
নিজস্ব প্রতিনিধি: হিন্দুদের পৌরাণিক গ্রন্থ 'রামায়ণ'। তাই গ্রন্থ থেকেই পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে 'রামায়ণ'- এর চিত্ররূপ। যার নায়ক-নায়িকা হলেন রাম সীতা। রাজার ছেলে হওয়া সত্ত্বেও ১৪ বছরের বনবাস, সীতাকে হরণ রাবণের, রাবণের কব্জা থেকে তাঁকে উদ্ধার, লব-কুশের জন্ম, সীতার পাতালে প্রবেশ, সবটাই রামায়ণের এক একটা খুঁটি।
গ্রন্থ অনুসারে, রাম ক্ষত্রিয় ছিলেন। কিন্তু স্বভাব ও গুণের কারণে তাঁকে ব্রাহ্মণ বলা হত। আসলে রাম কখনই তাঁর ক্ষত্রিয় ধর্ম ত্যাগ করেননি। বাল্যকাল থেকেই দুষ্টদমনে ওস্তাদ ছিলেন রাম।তাঁর ধনুকের জোরে ভস্ম হয়েছেন বহু রাক্ষস ও অসুর। রামের শক্তিশালী অস্ত্র-সস্ত্রের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ধনুক। রাম-সীতার বনবাস যাত্রার সময় রামের একমাত্র সঙ্গী ছিল ধনুক। এমনকি সীতার স্বযম্বরের সময়ে কয়েক শো পাত্রের মধ্যে কয়েক কেজির ধনুক রাম একা তুলেছিলেন। শাস্ত্র মতে, রামের এই ধনুকের নাম ছিল কোদন্ড। বাঁশ দ্বারা নির্মিত হত এই ধনুক।
এই ধনুক ছিল সাড়ে পাঁচ হাত লম্বা এবং ওজন ছিল ১০০ কিলো। রামের এই ধনুকের তীর কখনও লক্ষভ্রষ্ট হতনা। রাবণের খপ্পর থেকে সীতাকে উদ্ধারের সময় রাম তাঁর ধনুকের সাহায্যে তীর নিক্ষেপ করে সমুদ্রের জল শুকিয়ে দিয়েছিলেন। রাক্ষসবধেও এই ধনুক ব্যবহার করা হয়েছিল।