কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মালগাড়ির সহকারী চালক
নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে উত্তরবঙ্গের(North Bengal) দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের রাঙাপানিতে(Rangapani) ঘটে যাওয়া কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা(Kanchanjunga Express Accident) নিয়ে মুখ খুললেন দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত মালগাড়ির সহকারী চালক(Assistant Loco Pilot) মন্নু কুমার(Mannu Kumar)। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে ১১জনের প্রাণ। সেই দুর্ঘটনার রেশ এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারা মালগাড়ির সহকারী চালক মন্নু কুমার। তবে এবার তিনি রেলের আধিকারিকদের কাছে দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রথম থেকেই অভিযোগের দায় মালগাড়ির চালকের ঘাড়ে চাপাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্নু জানিয়েছেন, রেললাইনে বাঁক ছিল। আর তাই দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসটি তাঁদের নজরে পড়েনি। তাই সময় মতো ট্রেনে এমার্জেন্সি ব্রেক কষেনও দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি। তবে রেলের এখনও দাবি, মালগাড়ির চালকের দোষেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেলের নিয়ম অনুযায়ী, কাগুজে সিগন্যাল পাওয়ায় ধীর গতিতে মালগাড়ি চালানোর কথা ছিল চালকের। কিন্তু তা না মেনে অনেক দ্রুত গতিতে মালগাড়িটি ছুটছিল। যদিও এই দুর্ঘটনায় মালগাড়ির চালক মারা গিয়েছেন। তবে জীবিত রয়েছেন মন্নু।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলের আধিকারিকদের কাছে মন্নু কুমার জানিয়েছেন, তাঁরা যে লাইন ধরে মালগাড়ি নিয়ে আসছিলেন সেই ট্র্যাকে যে অন্য একটি ট্রেন ছিল, তা তাঁরা জানতেনই না। তাঁদেরকে এই নিয়ে কেউ কিছু জানায়ওনি। ঝেঁপে বৃষ্টি হওয়ার জন্য দূর থেকে তা দেখাও যায়নি। তারওপর রেললাইনে বাঁক ছিল। আর তাই দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসটি তাদের নজরে পড়েনি। তাই সময় মতো ব্রেক কষেও দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি। মন্নু যে দাবি করেছেন, তার সঙ্গে মিলও খুঁজে পেয়েছেন রেলের আধিকারিকেরা। তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখেছেন যে, দুর্ঘটনাস্থলে আগে একটি লেবেল ক্রশিং ছিল। আর সেই লেবেল ক্রশিয়ের ২০০ মিটার আগে লাইনটি বাঁক খেয়েছে। মন্নু রেলের আধিকারিকদের এটাও জানিয়েছেন যে, দুর্ঘটনার সময় পাশের ট্র্যাকে অন্য একটি ট্রেন যাচ্ছিল। তাই একই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটি নজরে পড়েনি মালগাড়ির চালক এবং তাঁর। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নজরে আসতেই আপতকালীন ব্রেক কষেছিলেন মালগাড়ির চালক। তবে গতি সেই ট্রেনটিকে টেনে নিয়ে যায়। তবে রেলের কাছে জমা পড়া যৌথ রিপোর্ট অনুযায়ী, নিয়ম অমান্য করে অত্যধিক গতিতে মালগাড়িটি চলছিল, আর তার জেরেই ঘটেছে দুর্ঘটনা।