রাজভবনে কর্মীদের প্রবেশে কড়াকড়ি, এসেছে স্পিকারের চিঠিও
নিজস্ব প্রতিনিধি: উপনির্বাচনে জয়ী বাংলার(Bengal) তথা তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) নতুন দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ক্রমশই তুঙ্গে উঠছে। সেই সংঘাতের আবহেই এবার রাজভবনে সেখানকার কর্মীদের প্রবেশে কড়াকড়ি নিয়ে চাপানউতোর শুরু হল। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে, কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে রাজভবনের(Raj Bhawan Kolkata) সচিবালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। কদিন আগে রাজভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে রাজ্যের পুলিশকে সরিয়ে দিতে বলে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে নতুন বিরোধের দরজা খুলেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস(C V Anand Bose)। সে বিষয় নিয়ে নড়াচড়া বন্ধ হওয়ার পর এবার রাজভবন কর্মীদের প্রবেশে কড়াকড়ি নিয়ে নতুন বিরোধ শুরু হয়েছে দুপক্ষের।
রাজভবন সূত্রে খবর, রাজভবন কর্মীদের ঢোকা বা বেরনোর সময় এতদিন শুধুমাত্র নিজেদের পরিচয়পত্র দেখাতে হত। কিন্তু চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে সেই নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন রাজভবনে কর্মরত ব্যক্তিকে প্রতিবার ঢোকা বা বেরনোর সময় নিজের পরিচয়পত্র ছাড়াও একটি খাতায় নিজের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, আইডি কার্ড নম্বর, সময়, কোন বিভাগে কর্মরত-সহ যাবতীয় তথ্য লিখতে হচ্ছে। আবার প্রতিদিন ডিউটিতে যোগদানের সময় সব এন্ট্রি করে ঢুকতে হচ্ছে। বাড়ি ফেরার সময় আবার এন্ট্রি করতে বেরতে হচ্ছে। যদি কেউ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বা খেতে বা ওষুধজাতীয় কিছু কিনতে বেরন, তাঁকেও যাবতীয় তথ্য এন্ট্রি করে তবেই বেরতে হচ্ছে। না হলে তাঁকে ফের ঢোকার সময় আটকে দেওয়া হচ্ছে গেটে।
এদিকে উপনির্বাচনে জয়ী দুই প্রার্থীর শপথ গ্রহণ নিয়ে অব্যাহত জটিলতা। বিষয়টি রাষ্ট্রপতিকেও জানিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার তথা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়(Biman Banerjee)। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি রাজ্যপালকেও এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন। তাতে তিনি এই শপথ গ্রহণ নিয়ে অবিলম্বে জটিলতা মেটানোর আর্জি জানিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর ও মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলার উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার। তাঁদের দুজনের শপথ গ্রহন নিয়েই চরমে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এখন চরমে উঠেছে। রাজ্যপালের প্রস্তাব মেনে রাজভবনে গিয়ে শপথ নিতে নারাজ সদ্য জয়ী দুই প্রার্থী। তাঁদের পালটা প্রস্তাব, বিধানসভায় গিয়ে শপথবাক্য পাঠ করাতে হবে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে। যা নিয়ে চলছে টানাপোড়েন।