For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

হাওড়ার পুরভোটের বিল আটকেছেন রাজ্যপালই, মেনেই নিল রাজভবন

রাজ্য সরকারের দাবিই ঠিক। রাজ্যপালই আটকে রেখেছেন হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচনের বিল। রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে মেনেই নিল রাজভবন।
11:59 AM Dec 04, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
হাওড়ার পুরভোটের বিল আটকেছেন রাজ্যপালই  মেনেই নিল রাজভবন
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরেই ঝুলে রয়েছে হাওড়া পুরনিগম(Howrah Municipal Corporation) এবং বালি পুরসভার(Bally Municipality) নির্বাচন। রাজ্য সরকারের দাবি, এই নির্বাচন করানোর জন্য যে বিল রাজ্য বিধানসভায়(West Bengal State Assembly) পাশ হয়েছিল সেই বিল রাজভবনে(Raj Bhawan) পাঠানো হলেও সেই বিল রাজ্যপালের(Governor) সাক্ষর সহ ফেরত আসেনি। যদিও প্রায় দেড় বছর ধরে সেই বিল রাজভবনে পড়ে থাকলেও তা স্বীকারই করছিল না রাজভবন। মাঝে রাজ্যপালের বদল হলেও বিল ফেরত আসার ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু সাম্প্রতিককালে রাজভবনের তরফে নবান্ন এবং রাজ্য বিধানসভায় পাঠানো এক চিঠিতেই সরাসরি না হলেও কিছুটা ঘুরিয়ে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে সেই বিল আটকে রেখেছেন রাজ্যপালই। আর তা পড়েও আছে রাজভবনেই। এই স্বীকারোক্তিই কার্যত বলে দিল রাজ্য সরকার(West Bengal State Government) এতদিন যে দাবি করে আসছিল তা সঠিক।

Advertisement

হাওড়া পুরনিগম থেকে বালিকে আলাদা করে ফের তাকে পৃথক পুরসভার রূপ দিতে রাজ্য সরকার রাজ্য বিধানসভায় বিল পাশ করেছে। নিয়মানুসারে সেই বিলে রাজ্যপাল সাক্ষর করলে তবে তা আইনে পরিণত হবে। আইন হলে তবেই পুরনির্বাচন সম্ভব। কিন্তু রাজ্যপাল বিল আটকে রেখে তাতে সই না করার জন্য হাওড়া পুর নিগমের নির্বাচন সম্ভব হয়নি। হাওড়া শহরে শেষবার পুরনির্বাচন হয়েছিল ২০১৩ সালে। সেই সময় শহরের ওয়ার্ড সংখ্যা ছিল ৫০। বালি সেই সময় আলাদা পুরসভাই ছিল। ২০১৪ সালে রাজ্য সরকার বালি পুরসভাকে হাওড়ার সঙ্গে মিলিয়ে দেয়। সেই সুবাদে বালির তৎকালীন ৩৫টি ওয়ার্ডকে পুনর্গঠিত করে ১৬টি ওয়ার্ডের রূপ দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে সেই ১৬টি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৮ সালে এই পুরনিগমে ফের নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও রাজ্য সরকার সেই নির্বাচন করায়নি। পরিবর্তে বসানো হয়েছিল প্রশাসক। মাঝে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, বালিকে ফের আগেকার মতোই পৃথক পুরসভা হিসাবেই গড়ে তোলা হবে এবং হাওড়া পুরনিগম আগের মতোই ৫০টি ওয়ার্ডের হবে। সেই মর্মেই রাজ্য সরকার বিধানসভায় বিল পাশ করেছিল। কিন্ত সেই বিলই আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল।  

Advertisement

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ নভেম্বর রাজভবনের তরফে নবান্ন এবং বিধানসভায় একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। রাজভবনের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি ওই চিঠি দিয়েছেন। বিধানসভায় পাশ হওয়া ১২টি বিলে ছাড়পত্র দিতে ফের রাজ্যের কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে তাতে। নভেম্বরের গোড়ায় ২২টি বকেয়া বিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বিলগুলির বর্তমান অবস্থা ব্যাখ্যা করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজভবন। সেখানে জানানো হয়েছিল, ২২টির মধ্যে ১২টি বিল নিয়ে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন। এবারও সেই ১২টি বিল নিয়েই রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে রাজভবন। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি তার প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে বিধানসভার সচিবকেও। ‘The West Bengal (Prevention of Lynching) Bill-2019’, ‘The Howrah Municipal Corporation (Amendment) Bill-2021’ এবং ‘The West Bengal Taxation Tribunal (Amendment) Bill-2022’-এর মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে ১২টি ফাইলের মধ্যে।

এসব বিলে রাজ্যপাল সম্মতি দেওয়ার আগে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। বিলগুলি ছাড়তে রাজ্যের প্রতিনিধিদের জরুরি ভিত্তিতে আলোচনার ব্যবস্থা করতেও আবেদন করা হয়েছে। রাজভবনের একাধিক প্রশ্নের ব্যাখ্যা মিললে বিলগুলি অনুমোদন পেতে পারে—সেকথাও বলা হয়েছে চিঠিতে। আর এই চিঠির অর্থই হল, রাজ্যপালই এতদিন ধরে হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচনের বিল আটকে রেখেছিলেন সেটা স্বীকার করে নেওয়া। প্রসঙ্গত, পঞ্জাব ও তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল কোনও কারণ ছাড়াই বিল অনুমোদনে বিলম্ব করছেন—এই অভিযোগে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সেখানকার দুই রাজ্য সরকার। সেই দুই মামলায় রীতিমতো শীর্ষ আদালতের হুঁশিয়ারির মুখে পড়তে হয়েছিল সেখানকার রাজ্যপালদের। সুপ্রিম কোর্টের সাফ নির্দেশ ছিল, রাজ্যের নির্বাচিত সরকার রাজ্য বিধানসভায় যে বিল পাশ করবে তাতাতে সাক্ষর করতেই হবে রাজ্যপালদের। তারপরেও বাংলার রাজ্যপালের যে বিন্দুমাত্র হুঁশ ফেরেনি সেটা আরও একবার প্রমাণিত হল।

Advertisement
Tags :
Advertisement