জেনে নিন কেন জামাইষষ্ঠীর সঙ্গে নাম জড়িয়ে আছে অরণ্য ষষ্ঠীর!
নিজস্ব প্রতিনিধি : মাঝে আর একটা দিন, এরপরই জামাইষষ্ঠী। এই উৎসব কে কেন্দ্র করে বাঙালির বাড়িতে বাড়িতে রীতিমতো তোরজোড় শুরু হয়ে গেছে। মেনুর তালিকা থেকে শুরু করে রন্ধন উপকরণ একে একে জোগাড় করতে শুরু করেছে শ্বশুড় শ্বাশুড়ী। এই বছর জামাই ষষ্ঠী পালিত হবে আগামী ১২ জুন ২০২৪ বুধবার।
এটি হল বাঙালির এমন একটি অন্যতম রীতি, যার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে বহু অজানা ইতিহাস। জানা যায় জ্যৈষ্ঠ মাসের এই তিথির সঙ্গে জামাই-এর কোনও সম্পর্কই নাকি ছিল না প্রথমে। এই তিথি নাকি ছিল অরণ্যের। আসলে প্রাচীন অরণ্য ষষ্ঠী থেকেই শুরু হয় জামাইষষ্ঠী।
ইতিহাস : সন্তান লাভের আশায় বা সন্তানের কল্যাণের উদ্দেশ্যে বছরে ১২ টি ষষ্ঠী পালন করার রীতি ছিল গ্রাম বাংলায়।দুর্গা ষষ্ঠী, নীল ষষ্ঠীর যেমন পালন হয় তেমনি একটি ষষ্ঠী ছিল অরণ্য ষষ্ঠী।
এই অরণ্য ষষ্ঠী এক সময় অরণ্যের মাঝে পালন করা হতো। তবে কারোর বাড়িতে অরণ্য না থাকলে বাড়ির উঠোন বা দালানকেও ছোটখাটো বাগান বানিয়ে সেখানে ব্রত পালন করতো বাড়ির মায়েরা।
কেন পালন করা হত অরণ্য ষষ্ঠী : কথিত রয়েছে, একবার দেবী ষষ্ঠী এক গৃহবধূকে শিখিয়েছিলেন অরণ্য ষষ্ঠী ব্রত পালন করার সমস্ত নিয়ম কানুন। ওই বিশেষ দিনে ব্রত পালন করার সময় ওই গৃহবধূ বাড়িতে ডেকেছিলেন নিজের মেয়ে এবং জামাইকেও। জামাই আসার পর দই-চন্দনের ফোঁটা দিয়ে জামাইকে আম কাঁঠাল খেতে বলেন ওই মহিলা। সেই থেকে অরণ্য ষষ্ঠীর সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছে জামাইষষ্ঠীর নাম।
উল্লেখ্য আজ অরণ্য ষষ্ঠী পালন না করা হলেও অরণ্য ষষ্ঠীর সেই রীতি একইভাবে পালন করে ঘরে ঘরে জামাইষষ্ঠী উদযাপন করা হয়। এইদিন ষষ্ঠী দেবীর কাছে মেয়ে, জামাই ও নাতি নাতনিদের জন্য মঙ্গল কামনা করে শাশুড়ি মা।