সাংবাদিকের গায়ে থুথু ফেলার জের, মোটা জরিমানা গুনলেন পরিচালক
নিজস্ব প্রতিনিধি: সে কী কাণ্ড! সেলিব্রিটিদের দেখলে ভক্ত হোক বা সাংবাদিক, সকলেই যে ছুটে আসবেন সেটাই চেনা ছকে বাঁধা। কিন্তু তা বলে সাংবাদিকের গায়ে থুথু ফেলবেন স্বয়ং নির্মাতা, তা কী হতে পারে! তবে হ্যাঁ, সাংবাদিক মানেই ১০১ টা প্রশ্নের ঝুলি, পেটের থেকে টেনে কথা বের করা, এটাই প্রধান বৈশিষ্ট্য! কিন্তু তাই বলে থুথু মারবেন, তাও একজন বিশ্বখ্যাত পরিচালক হয়ে! যদিও এই ঘটনার জল এখন আদালত পর্যন্তও পৌঁছেছে। কী অবাক হচ্ছেন তাই তো! ভাবছেন, ঘটনাটি ঠিক কী বা কে-ই বা করলেন এই কাজ? বিখ্যাত ব্রিটিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা মাইওয়েন। গত বছর ৭৬তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্ধোধনীর দিন প্রদর্শিত হয়েছিল তাঁর নির্মিত সিনেমা ‘জঁ দ্যু ব্যারি’। যেখানে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আমেরিকান অভিনেতা জনি ডেপ।
নিয়ম অনুযায়ী, অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে সিনেমাটির টিম-সহ প্রতিটি তারকা লালগালিচায় হেঁটেছিলেন, সেদিনই নির্মাতা মাইওয়েন ফরাসি সাংবাদিক এডউই প্লেনেলের মুখে থুথু মেরে দেন। যা নিয়ে সেই সময়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। এবং সাংবাদিক নির্মাতার এই আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে মামলা ঠুকে দেন। সেই মামলার বিচারেই এবার জরিমানা গুণতে হল মাইওয়েন কে। মার্কিন সংবাদ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় ত। মাইওয়েনকে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ৪০০ ইউরো (৪৩৫ ডলার) জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ফরাসি আদালত। জানা গিয়েছে, নির্মাতার কাজে কোনও বাধা দেননি সাংবাদিক, তবুও তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করেছিলেন পরিচালক। সেই কারণে অবশেষে তাঁর বিরুদ্ধে জরিমানা ধার্য করা হয়।
দায়ের করা মামলার নথি অনুযায়ী, সেদিন রেস্তোরাঁয় খাবার খাচ্ছিলেন সাংবাদিক প্লেনেল। পাশেই অন্য একটি টেবিলে বসেছিলেন নির্মাতা মাইওয়েন। তখনই কোনও কারণ ছাড়াই নিজের টেবিল থেকে উঠে এসে প্লেনেলের চুল ধরে মুখে থুথু ছিটিয়ে দেন মাইওয়েন। তারপর রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এই ঘটনায় রীতিমতো ট্রমায় পড়ে যান ওই সাংবাদিক। তাঁর কথায়, একবার মাইওয়েন ‘লিও দ্য প্রফেশনাল’ খ্যাত নির্মাতা লুক বেসনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিলেন। তার একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন ওই সাংবাদিক। তাই ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন মাইওয়েন। উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে বিয়ে হয় লুক বেসন-মাইওয়েনের। তখন বেসনের বয়স ৩৩ ও মাইওয়েনের বয়স ছিল ১৬ বছর। তবে তাদের সংসার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, ১৯৯৭ সালে তাঁরা বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন, তবে তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।