For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

মন্ত্রকের মন্ত্রী বদলেছে, বদলায়নি বাংলার প্রতি বঞ্চনার মনোভাব, আটকে ১৪ হাজার কোটি

লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির আসন কমলেও, পদ্মশিবিরে এখনও বাংলার প্রতি বঞ্চনা ও লাঞ্চনার মনোভাব দূর হয়নি।
11:25 AM Jun 14, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
মন্ত্রকের মন্ত্রী বদলেছে  বদলায়নি বাংলার প্রতি বঞ্চনার মনোভাব  আটকে ১৪ হাজার কোটি
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: ছিলেন গিরিরাজ সিংহ। এলেন শিবরাজ সিং চৌহান। মন্ত্রক অবশ্য একই থাকছে, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক(Ministry of Rural Development)। আর বদলাচ্ছে না বাংলার(Bengal) ভাগ্য। আটকে ছিল ১৪ হাজার কোটি টাকা, সম্ভবত সেটা আগামী দিনেও আটকে থাকবে। কেননা এই টাকার ছাড়ার অর্থই হল, বাংলার ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারের কাছে রাজনৈতিক ভাবে নতি স্বীকার করা। শুধু তাই নয়, এটাও মেনে নিতে হবে যে মমতার সরকার যে দাবি করে আসছিল, তা সত্যি, মিথ্যা নয়। নজরে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প(MGNREGA) ও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা(PMGAY)। এই দুই প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা, যা কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার গত ২ বছর ধরে আটকে রেখেছে। এর মধ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের বাংলার বকেয়া ৫৫৫৩ কোটি টাকা আর প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা প্রকল্পে বকেয়া টাকার পরিমাণ ৮৪১২ কোটি টাকা।

Advertisement

গত ২ বছর ধরে বাংলার প্রাপ্য কোটি কোটি টালা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের সরকার। এদের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকাও। যার মধ্যে অন্যতম হল ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প ও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা প্রকল্প। রাজ্যের তরফে একাধিকবার এই দুই প্রকল্পের জন্য আটকে রাখা টাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু টাকা ছাড়া হয়নি। খালি কেন্দ্রের তরফে ও কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির তরফে বার বার অভিযোগ তোলা হয়েছে যে এই দুই প্রকল্পের কাজে ভুরি ভুরি দুর্নীতি হয়েছে। তাই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু সেই কেন্দ্রের তরফেই বাংলায় এই ২ বছরে শতাধিক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েও কোনও দুর্নীতি খুঁকে বার করতে পারেনি মোদি বাহিনী। কিন্তু টাকাও ছাড়া হয়নি। একইসঙ্গে বাংলার বুকে বিজেপির নেতারা বুক ঠুকে দাবি করে গিয়েছেন, তাঁরাই নাকি টাকা আটকে দিতে বলেছেন। যদিও এবারের লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপির শক্তি কিঞ্চিৎ কমলেও তাদের জয়যাত্রা তৃণমূল পুরোপুরি ঠেকাতে পারেনি। এখনও রাজ্যের ১২টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে তাঁদের দখলে।

Advertisement

আর তাই পদ্মশিবিরে এখনও বাংলার প্রতি বঞ্চনা ও লাঞ্চনার মনোভাব দূর হয়নি। বরঞ্চ তাঁদের এখনও লক্ষ্য, কীভাবে টাকা আটকে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলা যায়। তৃতীয় মোদী সরকারে গ্রামোন্নয়ন ও কৃষি মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। সেই সূত্রে মনে করা হয়েছিল হয়তো এবার বাংলার কপালে শিকে ছিঁড়লেও ছিঁড়তে পারে। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনই বাংলাকে টাকা দেওয়া হবে না। দেওয়া হলে তা তৃণমূলের কাছে বিজেপির পরাজয় এবং নতিস্বীকার হিসাবেই গণ্য হবে। আর তাই বাংলাকে বঞ্চনার ধারা বজায় রাখতেই চায় মোদি সরকার। মন্ত্রী বদলালেও কার্যত বাংলার প্রতি বঞ্চনার ক্ষেত্রে কোনও বদল ঘটানো হচ্ছে না। বাংলার মানুষের পেটে লাথি মেরেই দিল্লিতে বসে ক্ষমতার মধুভান্ড খেতে চাইছে এনডিএ সরকার।

Advertisement
Tags :
Advertisement