গার্স্টিন প্লেসের বহুতলের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভেঙে পড়েছে বাড়ির একাংশ
নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার(Kolkata) ডালহৌসি এলাকার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের পিছনে থাকা গার্স্টিন প্লেসের বহুতলে আগুন(Fire in Multistore Building) লাগে শনিবার ভোরে। এদিন ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ বাড়িটির ৩ তলা থেকে প্রথম ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে বাড়িটির ৪ তলায়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। প্রায় ১ ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। পরে আসে আরও ৩টি। মোট ৮টি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। সকাল ৯টা নাগাদ দমকল থেকে জানানো হয় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, কিন্তু বাড়িটির একাংশ ভেঙে পড়েছে(Building Partially Collapsed) । স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন দমকল দেরী করে আসার জন্য ক্ষোভ দেখালেও দমকলের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় ঘটনাস্থলে দমকলের পৌঁছতে বেশ বেগ পেতে হয়। ঘটনায় ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকও।
জানা গিয়েছে, এদিন আগুন লাগার পরে পরেই দমকলকে খবর দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে দমকল কেন্দ্র খুব কাছে হলেও দমকল আসতে আসতে প্রায় ১ ঘন্টা লেগে যায়। ততক্ষণে বাড়িটির ৩ ও ৪ তলা চলে গিয়েছে আগুনের গ্রাসে। স্থানীয়দের বক্তব্য, দমকল সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আগুন এত ভয়াবহ আকার নিত না। যদিও দমকলের এক কর্মী জানান, ‘ঘটনাস্থলে আসার পরে আমাদের বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। একাংশ বাসিন্দা বিক্ষোভও দেখান। তা না হলে আরও আগে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যেত।’ ঘটনায় সন্তোষ পাঠক জানিয়েছেন, ‘ভোর চারটে নাগাদ ওই বহুতলে কালো ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয়রা। দ্রুত দমকলে খবর দেওয়া হয়। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজও শুরু করেন। কিন্তু দমকল দেরি করে আসায় আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। দমকল সময়ে এলে পরিস্থিতি আগেই নিয়ন্ত্রণে আনা যেত।’ ঘটনার জেরে বাড়িটি থেকে বার বার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে। যে বাড়িতে আগুন লেগেছে সেটি প্রায় ১০০ বছরের পুরাতন। ফলে বাড়িটির কাঠামো নিয়ে এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এই মুহূর্তে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বহুতলের একাংশ ভেঙে পড়েছে। ওই বহুতলের একাংশ কাঠের কাঠামোর। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গার্স্টিন প্লেসে রয়েছে আরও একাধিক পুরনো বহুতল। স্বাভাবিকভাবে, পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান, এসির শর্টসার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, ভোর রাতে ওই বহুতলে সিলিন্ডার ফাটার শব্দ শোনা গিয়েছিল। তারওপর বহুতলে মজুত ছিল প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থও। যার জেরে আগুন দ্রুত ভয়াবহ আকার নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।