নির্বিঘ্নের নির্বাচনে খুশি বঙ্গবাসী, জীবনহানি ঠেকিয়ে খুশি কেন্দ্রীয় বাহিনীও
নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে বাংলার(Bengal) বুকে সাঙ্গ হল অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) যুদ্ধ। চলতি বছরের ১৬ মার্চ দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই থেকেই রাজ্য তথা দেশে ভোট যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল সরকারি ভাবে। এরপর ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণের পালা। সেই হিসাবে প্রায় আড়াই মাস বাদে এদিন ভোট যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটল। যফিও এখনও বাকি রয়ে গিয়েছে ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণার কাজ। তবে এই সুদীর্ঘকালের ভোট যুদ্ধে বাংলার মানুষ সব থেকে বেশি আশঙ্কিত ছিলেন গত বছরে বাংলার বুকে হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে ঘটে যাওয়া হিংসাত্মক ঘটনা ও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে ঘটে যাওয়া শীতলকুচি হত্যাকাণ্ডের(Sitalkuchi Firing Incident) জন্য। দুই নির্বাচনের ক্ষেত্রেই জীবনহানির ঘটনা ঘটেছিল। তাই এবারে প্রথম থেকেই বাংলার মানুষ চাইছিলেন এবারের লোকসভা নির্বাচন যেন রক্তাক্ষয়ী না হয়ে ওঠে। কোনও মায়ের কোল যেন খালি না হয়। কোনও মেয়ের সিঁথির সিঁদুর যেন মুছে না যায়। সেই হিসাবে দেখা গেল, এবারের নির্বাচন মানু্ষের আশা আকাঙ্ক্ষাকে ধরে রাখতে পেরেছে। বাংলার বুকে এদিন সপ্তম দফার ভোটগ্রহণের(7th Phase Polling) মাধ্যমে সাঙ্গ হল অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন, আর তা কোনও জীবনহানি ছাড়াই।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শীতলকুচির ঘটনায় যতনা রাজনৈতিক ভাবে আলোড়ন পড়েছিল, তার থেকেও বেশি আমজনতা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে(Central Force) ঘিরে আশঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। সেই সময় থেকেই বার বার কেন্দ্রের শাসক দলের বিরুদ্দফহে অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কদর্য ভাবে ব্যবহার করার। শুধু তাই নয়, শীতলকুচির ঘটনা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরপেক্ষতাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছিল। এবারে বাংলার মানুষ কিন্তু আর কোনও শীতলকুচি চায়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছেও এটা চ্যালেঞ্জ ছিল, যাতে শীতলকুচির মতো কোনও ঘটনা না ঘটে। যদিও তাঁদের একাধিক বার এই নির্বাচনেও প্রোরোচিত করা হয়েছিল কেন্দ্রের শাসক দলের মারফত, শীতলকুচির মতো ঘটনা ঘটাতে। যদিও সেই রকম কিছু ঘটেনি। তবে একুশের মতো এবারের নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে মহিলাদের শ্লীলতাহানি করার, বুথে যেতে বাধা দেওয়ার এবং বুথের লাইনে থাকা ভোটারদের একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের স্বপক্ষে ভোটদানের জন্য প্রভাবিত করার। তবে এটা ঘটনা যে, এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলার শাসক দলের তরফে খুব বেশি অভিযোগ জমা পড়েনি, কিন্তু কেন্দ্রের শাসক দল তাঁদের বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ নির্বাচব কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে।