OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

‘সবুজ বাজি’ উৎপাদনের ক্লাস্টার নির্মাণে সহায়তা করবে রাজ্য সরকার

‘সবুজ বাজি’ উৎপাদনের জন্য ক্লাস্টার তৈরি সহ বাজি ব্যবসায়ীদের নানাভাবে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
10:57 AM Nov 25, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google and Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: পরিবেশ ও বায়ু দূষণ ঠেকাতে কলকাতা হাইকোর্ট তো বটেই, সুপ্রিম কোর্টও সাধারন বাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাংলার বুকেও বেশ কিছু জায়গায় বাজি কারখনায় বিস্ফোরণের ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তাই রাজ্য সরকারও চাইছে বাংলার বাজি ব্যবসায়ীরা যত শীঘ্র সম্ভব বৈধ ভাবে ‘সবুজ বাজি’ বা Green Crackers নির্মাণের পথে চলে আসুক। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঠেকাতে রাজ্য সরকার(West Bengal State Government) জোর দিচ্ছে বাজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক ছোট ও মাঝারি মাপের ক্লাস্টার(Clusters) নির্মাণের দিকেও। সেই লক্ষ্যেই এবার পরিবেশবান্ধব ‘সবুজ বাজি’ উৎপাদনের জন্য ক্লাস্টার তৈরি সহ বাজি ব্যবসায়ীদের নানাভাবে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন সরকার। এই সাহায্য কীভাবে দেওয়া হবে তা জানানো হয়েছে সবুজ বাজি উৎপাদন, মজুত ও বিক্রয় সংক্রান্ত নতুন সরকারি নীতিতে।

কয়েকদিন আগে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল। সেই বৈঠকেই সবুজ বাজি উৎপাদন, মজুত ও বিক্রয় সংক্রান্ত নতুন সরকারি নীতিতে শিলমোহর দেওয়া হয়েছে। এই নীতি অনুমোদনের পরই রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতর(MSME Department) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে জানানো হয়েছে, জেলা প্রশাসনের সাহায্যে বাজি তৈরির জন্য ক্লাস্টার নির্মাণের জন্য জমি চিহ্নিতকরণ এবং সেই ক্লাস্টারের পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রাথমিক কাজ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরই করে দেবে। বাজি উৎপাদকদের ওই জমি দেওয়া হবে ৩০ বছরের লিজে। বাজি উৎপাদকরাও নিজেদের জমিতে ক্লাস্টার গড়তে পারবেন। তখন পরিকাঠামো নির্মাণ খরচের ৯০ শতাংশ দেবে সরকার। বাজি উৎপাদকরা ক্লাস্টার তৈরির জন্য কোনও সরকারি জমি চিহ্নিত করলেও সরকার সাহায্য করবে। সেক্ষেত্রে পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে উৎপাদকদের নিজেদের খরচে।

নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের ‘শিল্প সাথী’ পোর্টালে বাজি উৎপাদন, মজুত ও বিক্রির জন্য লাইসেন্স পেতে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। উৎপাদকরা ‘বঙ্গশ্রী’ প্রকল্পের অধীনে আর্থিক সুবিধা পাবেন। বিশেষ ক্লাস্টারে গ্রিন বাজি উৎপাদনের জন্য ‘নিরি’ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণের খরচ দেবে রাজ্য। কোনও উৎসবের সময় লোকালয় থেকে দূরে কোনও ফাঁকা জায়গায় সাময়িকভাবে বাজি বিক্রির অনুমতি দিতে পারবে জেলা প্রশাসন। জেলা পর্যায়ের বিশেষ কমিটি এই অনুমতি দেবে। এই সব নীতি বাস্তবায়িত হলে রাজ্যে বেআইনি বাজি নির্মাণের ঘটনা যেমন বন্ধ হয়ে যাবে তেমনি বিস্ফোরণের মতো ঘটনায় প্রাণহানীও অনেকাংশেই ঠেকানো যাবে বলে মনে করছেন রাজ্যের আধিকারিকেরা।

Tags :
Clustersgreen crackersMamata BanerjeeMSME Department.West Bengal State Government
Next Article