ধান কেনার পরিমাণ বাড়াতে আরও ১০০টি কেন্দ্রীয় ক্রয় কেন্দ্র খুলছে রাজ্য
নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নির্দেশে রাজ্য ধান চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার(Paddy Procurement) পরিমাণ বাড়াতে খাদ্য দফতর(Food Department) আরও ১০০টি কেন্দ্রীয় ক্রয় কেন্দ্র বা Centralized Procurement Centre বা CPC খুলতে চলেছে। ওই নতুন ১০০টি CPC’র মধ্যে কিছু থাকবে ভ্রাম্যমাণ, বাকিগুলি হবে নির্দিষ্ট জায়গায় অবস্থিত ক্রয়কেন্দ্র। রাজ্য সরকারের তরফে চলতি খরিফ মরশুমে রাজ্যের খাদ্যদফতর নির্দিষ্ট জায়গায় ৫৩৫টি এবং ৮৯টি ভ্রাম্যমাণ CPC চালাচ্ছে। অর্থাৎ ৬২৪টি CPC এখন কার্যকর রয়েছে। এবার এর সঙ্গে আরও ১০০টি CPC যুক্ত হতে চলেছে বলে খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। বুধবার খাদ্যশ্রী ভবনে ধান কেনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের আরও বেশি সংখ্যক ধান চাষী যাতে CPC-তে গিয়ে ধান বেচতে পারেন তার জন্য সংখ্যা আরও বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। CPC-তে ধান বেচলে চাষিরা ধানের জন্য সরকারি ভাবে ঘোষিত নূন্যতম দাম যা Minimum Support Price বা MSP নামে বেশি পরিচিত তার সঙ্গে প্রতি কুইন্টালে ২০ টাকা হারে অতিরিক্ত বোনাস পান। তবে CPC-তে গিয়েই যে ধান বিক্রি করতে হবে এমন কোনও ব্যাপার নেই। রাজ্য সরকার সমবায় সংস্থা, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং Farmers Producer Organization বা FPO-দের মারফতও চাষীদের কাছ থেকে ধান কেনে। চলতি মরশুমে যে প্রক্রিয়ায় ধান চাষীদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে, সেই ব্যবস্থা আগামী মরশুমে অব্যাহত থাকবে। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ই-পপ যন্ত্র ব্যবহার করা হবে ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে। সেই সঙ্গে চাষীদের আধার যাচাই করা হবে। কৃষকবন্ধু পোর্টাল থেকে চাষিদের পরিচয় খতিয়ে দেখা হবে।
গোটা মরশুমে একজন চাষি সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। প্রথম দফায় অবশ্য ৩০ কুইন্টাল কেনা হবে। আগামী মরশুমে ৬৮ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রাখতে চাইছে খাদ্য দফতর। এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্য রাজ্য মন্ত্রিসভা নেবে। তবে খাদ্য দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার থেকে সরকারের কাছ থেকে ধান ভানিয়ে চাল উৎপাদনের জন্য রাইস মালিকদের আরও বেশি টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি জমা রাখতে হবে। ৫০০ কুইন্টাল ধানের জন্য গ্যারান্টি ২৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ লক্ষ টাকা করতে চাইছে খাদ্য দফতর। এই বৃদ্ধির বিষয়টি খাদ্য দফতরকে বিবেচনা করার জন্য রাইস মিল মালিকদের সংগঠনের তরফে আবার অনুরোধও করা হয়েছে। তবে খাদ্য দফতর জানিয়ে দিয়েছে, আগস্ট মাসের মধ্যেই রাইস মিলগুলিকে নথিভুক্তির কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।