OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দিল সুপ্রিম কোর্ট

রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। খুশি চাকরিপ্রার্থীরা। স্বস্তি রাজ্যের।
05:28 PM Jan 29, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বস্তি রাজ্যের। স্বস্তি চাকুরিপ্রার্থীদেরও। কেননা রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে(Government Primary Schools) শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে(Teachers Post) নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)। এদিন অর্থাৎ সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত ২০২২ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে। সুপ্রিম নির্দেশে বলা হয়েছে, বাংলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে রাজ্য সরকার। প্যানেল প্রকাশেও বাধা থাকছে না। এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আসানুদ্দিন আমানুল্লাহের বেঞ্চ। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। প্রথম বিজ্ঞপ্তিতেই জানানো হয়, যারা ডিএলএডের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁরাও নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের সিদ্ধান্তেই মান্যতা দেন। ওই বছর ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি(Recruitment Notice) জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ(WBBPE)।    

কিন্তু ২০২৩ সালের এপ্রিলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়। ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর রাজ্যের শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, জাতীয় শিক্ষক শিক্ষণ পর্ষদের নিয়ম অনুয়াযী, শিক্ষক হতে গেলে ন্যূনতম শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। এই যুক্তি তুলে ধরে দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। শিক্ষক হতে গেলে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হবে। যদিও মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রার্থীদের কোর্স শুরু হয়েছে ২০২০ সালের জুন মাসে। তাঁদের দু’বছরের কোর্স সম্পূর্ণ হবে ২০২২ সালের জুন মাসে। অর্থাৎ, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিনের আগেই তাঁদের সকলের চূড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষা হয়ে যাবে। ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ডিএলএড প্রশিক্ষণের শংসাপত্র দেওয়া হবে।

কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, ২১ অক্টোবর ২০২২ সালে নতুন আরেকটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পর্ষদ। সেখানে তারা জানায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। ওই ইন্টারভিউতে শুধু মাত্র ডিএলএড উত্তীর্ণরা সুযোগ পাবেন। এর পরেই সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। দুই বিচারপতির বেঞ্চ পর্ষদের ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের বিজ্ঞপ্তিও বাতিল করে দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ জানায়, আদালত নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্ষদ কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না। তার পর থেকে মামলাটির শুনানি একাধিক বার পিছিয়ে গিয়েছে। গত ২২ জানুয়ারি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কত শূন্য পদ রয়েছে, কত জন যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তার খসড়া প্যানেল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষক পদে ১১,৭৬৫ শূন্যপদ রয়েছে। রাজ্য প্রশাসনও প্যানেল প্রকাশ করে দ্রুত নিয়োগ করতে চাইছে। তার পরেই সোমবার নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে দিল শীর্ষ আদালত।

Tags :
Calcutta High CourtGovernment Primary SchoolsRecruitment Noticesupreme courtTeachers PostWBBPE
Next Article