OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

ব্যারাকপুরজুড়ে পড়েছে পোস্টার, বাঙালি সাংসদ চাই এবার

যে অর্জুন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের শেষ কথা হয়ে উঠেছিলেন, সেখানেই শয়ে শয়ে বাড়িতে পড়েছে পোস্টার, ‘বাঙালি সাংসদ চাই এবার’।
03:04 PM Mar 30, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Facebook, Twitter and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০০৯ সাল থেকে ব্যারাকপুর সাংসদ হিসাবে পেয়ে এসেছে অবাঙালিকে। ২০০৯ থেকে ২০১৯, টানা ১০ বছর ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ ছিলেন দ্বিনেশ ত্রিবেদী। উনিশে তাঁকে হারিয়ে জয়ী হন অর্জুন সিং(Arjun Singh)। তিনিও অবাঙালি। তবে তিনি জিতেছিলেন বিজেপির প্রার্থী হয়ে। এবার সেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এলাকাজুড়ে শনি সকাল থেকেই বাড়িতে বাড়িতে পড়েছে বড় বড় পোস্টার(Postar), ‘বাঙালি সাংসদ চাই এবার’। লক্ষ্য যে তৃণমূল প্রার্থী(TMC Candidate) প্রার্থ ভৌমিক(Partha Bhowmick) সেটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। কেননা অর্জুন এবারেও বিজেপির টিকিটেই(BJP Candidate) ব্যারাকপুরের ভোটে দাঁড়িয়েছেন। যদিও তাঁর ওপর ভরসাই নেই খোদ বিজেপির একশ্রেনীর নেতাকর্মীদের। তাঁরা কার্যত বসেই গিয়েছেন। তবুও যে অর্জুন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের শেষ কথা হয়ে উঠেছিলেন, সেখানেই যদি শয়ে শয়ে বাড়িতে পোস্টার পড়ে ‘বাঙালি সাংসদ চাই এবার’, তাহলে ধরে নিতেই হয় এই লড়াই এখন আর শুধু রাজনীতির ময়দানে দাঁড়িয়ে নেই। এর অন্দরে রয়েছে বাঙালি-অবাঙালি দ্বন্দ্ব।

আমডাঙা, বীজপুর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, জগদ্দল, নোয়াপাড়া এবং ব্যারাকপুর – এই ৭ বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে ব্যারাকপুর লোকসভা(Barracpur Loksabha) কেন্দ্রের গঠন। উনিশের ভোটে এই ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে বীজপুর, নৈহাটি, ভাটপাড়া ও জগদ্দল থেকে লিড পেয়েছিলেন অর্জুন। শেষমেষ ১৪ হাজার ভোটে জিতে যান তিনি। এর মধ্যে তাঁর নিজের এলাকা ভাটপাড়া থেকে তিনি প্রায় ৩০ হাজার ভোটের লিড পেয়েছিলেন যা তাঁকে জয়ের মুখ দেখিয়েছিল। একই সঙ্গে একটা আবেগও কাজ করেছিল সেবার। অর্জুন দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা। দলের অতিবড় দুর্দিনেও তিনি দল ছাড়েননি। কিন্তু দল তাঁকে ব্যারাকপুরের সাংসদ করতে চায়নি। তার জেরেই অর্জুনের দলত্যাগ। কিন্তু তার জেতার পরে ভাটপাড়ায় যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে সেই ঘটনার ক্ষত আজও বয়ে নিয়ে চলেছে সমগ্র ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। তারপর থেকেই এই শিল্পাঞ্চলে প্রকট হয়েছে বাঙালি আর অবাঙালির লড়াই। একদিকে বাংলা ভাষী মানুষ অপরদিকে হিন্দি ভাষী মানুষ। পরিসংখ্যান বলছে, ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটার হিন্দিভাষী। বাকি ৫০ শতাংশ বাঙালি। ১০ শতাংশ উর্দু ভাষী।

স্বাভাবিক ভাবেই এদিন সকাল থেকেই আমডাঙা থেকে বীজপুর, নৈহাটি থেকে ভাটপাড়া, নোয়াপাড়া থেকে ব্যারাকপুরে যে ভাবে বাড়িতে বাড়িতে ‘বাঙালি সাংসদ চাই এবার’ পোস্টার পড়েছে তাতে অর্জুনের সিংয়ের কাছে কখনই সুখানুভূতি এনে দেবে না। এলাকার অভিজ্ঞদের দাবি, যে মেশিনারির ওপর ভর দিয়ে অর্জুন উনিশের ভোটে জিতেছেন, সেই মেশিনারি এখন তৃণমূলের হাতে। সেই জন্যই একুশের ভোটে বিজেপি ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা অর্জুনের নিজের এলাকা ভাটপাড়া ভিন্ন আর কোথাও জিততে পারেনি। অর্জুন নিজেও বিজেপি প্রার্থীদের জেতাতে পারেননি। সেই মেশিনারি যে এখনও তৃণমূলের হাতেই রয়েছে তারই নমুনা এই পোস্টার। তাঁরাই পার্থকে জেতাতে বাঙালি আবেগ উস্কে দিয়ে এই পোস্টার ছড়িয়ে দিয়েছেন বাড়িতে বাড়িতে। অনেকের অভিমত এর পিছনে কাজ করছে বাংলা পক্ষ’র মতো সংগঠনও। সব মিলিয়ে বাঙালি ভোট এবার এককাট্টা হতে চলেছে বিজেপির বিরুদ্ধে, অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে।

Tags :
Arjun singhBarracpur Loksabhabjp CandidatePartha bhowmickPostarTMC Candidate
Next Article