চিনি-আটার দাম অগ্নিমূল্য, মজুতকারীদের গণধোলাইয়ের নিদান শেখ হাসিনার
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: রমজানের মুখে আটা থেকে চিনি-নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছে। থলে নিয়ে বাজারে মাছ-মাংস-ডিম কিনতে গিয়ে হাতে ছ্যাঁকা খাচ্ছেন আম আদমি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রশাসনকে তেমন সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না। আর প্রশাসনের সেই ব্যর্থতা আড়াল করতে মজুতকারীদের গণধোলাইয়ের নিদান দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের প্রশাসনিক প্রধান হয়ে সাধারণ মানুষকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে কীভাবে ইন্ধন জোগালেন প্রধানমন্ত্রী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যে।
ইউরোপ সফর শেষে শুক্রবার গণভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। রমজানের মুখে দেশজুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অগ্নিমূল্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্লিপ্ত কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর আগে পেঁয়াজের খুব অভাব। দেখা গেল বস্তার পর বস্তা পচা পেঁয়াজ জলে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এই লোকগুলোর কী করা উচিত, আপনারাই বলুন কী করা উচিত। তাদের গণধোলাই দেওয়া উচিত। আমরা সরকার কিছু করলে বলবে, সরকার করেছে। পাবলিক যদি প্রতিকার করে, তাহলে সব চেয়ে ভাল, কেউ কিছু বলবে না।’
তাঁর জমানায় বাংলাদেশের মানুষ আগের চেয়ে অনেক স্বস্তিতে রয়েছেন বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে যে পরিবর্তন এসেছে, তা তো স্বীকার করবেন। আগে ভাতের জন্য হাহাকার ছিল। একটু নুন-ভাত। একটু ফ্যান চাইত।’ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অগ্নিমূল্যের পিছনে বিরোধীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘যারা নির্বাচন বানচালের পক্ষে, তারা যখন দেখল যে নির্বাচন কোনও ভাবে আটকাতে পারবে না, তখন চক্রান্ত হলো জিনিসের দাম বাড়াবে। তারপর সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তখন আন্দোলন করে সরকারকে উৎখাত করবে। এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ। এই চক্রান্ত এখনও চলছে।’