চাকরি হারালেন যারা, তাঁরা ভোটের ডিউটিও করতে পারবে না, নির্দেশ আদালতের
নিজস্ব প্রতিনিধি: সোম সকালে গোটা রাজ্যের চোখ ছিল কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) দিকে। কেননা এদিনই রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি(School Teachers Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলার রায়(Case Verdict) প্রদান করেছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বর রশিদির স্পেশাল ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানেই বলে দেওয়া হয়েছে, ২০১৬ সালের প্যানেলে SSC’র মাধ্যমে যারা চাকরি পেয়েছিলেন সেই ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হল। একই সঙ্গে যাদের অতিরিক্ত পদ তৈরি করে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, তাঁদেরও চাকরি বাতিল করে দেওয়া হল। একই সঙ্গে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, যাদের চাকরি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের কেউ আর ভোটে ডিউটি(Election Duty) দিতে পারবে না। এমন শিক্ষিক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর সংখ্যা সাড়ে ১৭ হাজার, এরা আর ভোটের ডিউটি করতে পারবেন না।
ভোট মানেই সরকারি কর্মীদের মাথা ব্যাথা। কেননা তাঁরাই নির্বাচনের ডিউটি সামলান প্রিসাইডিং অফিসার থেকে বুথকর্মী হিসাবে। এবারে লোকসভা নির্বাচনেও তাঁরাই ভোটের ডিউটি দিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও আছেন। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে যাদের চাকরি গিয়েছে তাঁদের মধ্যে সাড়ে ১৭ হাজার জন ভোটের ডিউটির জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে ন্নির্দেশ পেয়েছিলেন। তাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এবং হয় নির্বাচনী ডিউটি সেরে ফেলেছেন কিংবা সারতে চলেছিলেন। রাজ্যে ইতিমধ্যেই একটি দফায় ৩টি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও ৬ দফায় আরও ৩৯টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণের বিষয় বাকি আছে। এখন আদালতের নির্দেশে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মী এদিন নিজেদের চাকরি তো হারিয়েইছেন, ভোটের ডিউটি থেকেও রেহাই পেয়েছেন। কিন্তু খুব কম সময়ের মধ্যে কীভাবে এই সাড়ে ১৭ হাজার ভোটকর্মীর শূন্যস্থান কমিশন(ECI) পূরণ করবে তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।