For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

‘যাদের বাড়ি ভেঙেছে, তৈরি করে দিতে বলব’, গার্ডেনরিচ কান্ডে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর, গ্রেফতার প্রোমোটার

মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরে পরেই গ্রেফতার হয়েছে গার্ডেনরিচের ভেঙে পড়া বহুতলের প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসি। এলাকাবাসীকে আশ্বাস মমতার।
10:50 AM Mar 18, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
‘যাদের বাড়ি ভেঙেছে  তৈরি করে দিতে বলব’  গার্ডেনরিচ কান্ডে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর  গ্রেফতার প্রোমোটার
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন কিছুদিন আগেই। মাথায় বাঁধা মোটা ব্যান্ডেজ। কিন্তু গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে সেসব উপেক্ষা করে সোম সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তাঁকে কাছে পেয়ে এলাকাবাসী যেমন একদিকে আপ্লুত তেমনি অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভেঙে পড়া বেআইনি বহুতলটি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। আর তার পরে পরেই ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিয়ে দিলেন, ‘যাদের বাড়ি ভেঙেছে, তৈরি করে দিতে বলব’। পাশে তখন দাঁড়িয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের(KMC) মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim), কলকাতা পুরনিগমের চেয়ারপার্সন তথা দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায় এবং রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, বেলা ১১টা পর্যন্ত ২জন মহিলার মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে এই সংখ্যা বাড়তে পারে। কেননা এখনও জন ৬ মানুষ আটকে আছেন ধ্বংসস্তূপের নীচে। এটাও জানা গিয়েছে, ওই বেআইনি বহুতল নির্মাণের সঙ্গে জড়িত প্রমোটার মহম্মদ ওয়াসি গ্রেফতার হয়েছে।  

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গার্ডেনরিচের(Gardenreach) ফতেপুর ব্যানার্জি বাগান লেনে ভেঙে পড়া নির্মীয়মান বেআইনি বহুতলটির ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও জন ৬ মানুষ আটকে আছেন। তাঁদের মধ্যে ১জন কাছ থেকে সাড়া পাওয়া গেলেও বাকিদের কোনও সাড়া শব্দ মিলছে না। ফলে তাঁরা কী অবস্থায় আছেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ত্রফ এবং দমকলের তরফে জানানো হয়, ৮৫ শতাংশ উদ্ধারকাজ হয়ে গিয়েছে। ঘিঞ্জি এলাকায় বহুতলটি এমন ভাবে ভেঙে পড়েছে, যে উদ্ধারে সময় লাগছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে অনেকেই বহুতলটি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। কেননা, সরু গলি দিয়ে ঢুকে ঘিঞ্জি এলাকায় সেই দুর্ঘটনাস্থল। চারিদিকে ঝুপড়ি। সেখানে থাকেন প্রচুর মানুষ। কিন্তু তারই আশপাশে ব্যাঙের ছাতার মতো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক বহুতল। সেই রকমই একটি বহুতল গতকাল রাতে ভেঙে পড়ে কয়েকটি টালির চালার বাড়ির ওপরে।

Advertisement

এদিন মুখ্যমন্ত্রী সেখানে যেতেই এলাকার মহিলারা তাঁকে জানান, ‘আমরা তো গরিব। আমাদের ঘরটা কী করে হবে। বিল্ডিং তোলার সময় অবজেকশন করা হয়েছিল। তখন বলেছিল, ঠিক করে দেব। এখন ভেঙে গিয়েছে। কে দেবে গুনগার? আমাদের এত বড় ক্ষতি হল। কে দেখবে? ওরা তো পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তখন বলা হয়েছিল অতদূর তুলো না। কিন্তু শোনে নিই। আজ এই ক্ষতি কে পূরণ করবে? প্রাণটাই তো চলে যেত। কে দেখত তখন? ওই এলাকার বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রীকে এটাও জানিয়েছেন যে, ‘এখানে না সয়েল টেস্ট হয়েছে, না কিছু হয়েছে। এ রকম বহু বিল্ডিং এখানে হয়ে রয়েছে। আশপাশে ২-৩টে বাড়ি পুরো চাপা পড়ে গিয়েছে। বাকি বাড়িরও ক্ষতি হয়েছে। আমরা কিছু উদ্ধার করেছি। এখন তো উদ্ধারদল কাজ করছে। সয়েল টেস্ট ছাড়া একটা বিল্ডিং কীভাবে তৈরি হয়?’ বস্তুত সেই কথা শুনেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ‘যাদের বাড়ি ভেঙেছে, তৈরি করে দিতে বলব’।  

সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এটাও জানান, ‘আমি শুনলাম, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এই বহুতলটি তৈরি করা হয়নি। মেয়রকে এই বাড়ির প্রয়োজনীয় অনুমতি আছে কিনা জিজ্ঞেস করলাম। ও বলল না। প্রোমোটারদের একাংশ বেআইনি ভাবে বাড়ি তৈরি করেন। তার আগে ভাবা দরকার, আশপাশে যাঁরা আছেন, তাঁদের যাতে ক্ষতি না হয়। যারা বেআইনি কাজ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। পরিবারের পাশে সরকার দাঁড়াবে। বাড়ি তৈরির আগে প্রোমোটরদের ভাবা উচিৎ, আশেপাশের গরিব মানুষগুলোর যেন ক্ষতি না হয়। বাড়ি মজবুত হওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। বছরের পর বছর ধরে এই ঘিঞ্জি এলাকাগুলো তৈরি হয়েছে। সবাই নয়, কিন্তু একাংশ প্রোমোটাররা জরুরি অনুমতি ছাড়াই বাড়ি বানায়। এই বাড়ি কীভাবে তৈরি হয়েছিল তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দেখা হবে।’ বস্তুত মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরে পরেই ভেঙে পড়া বহুতলের প্রোমোটার গ্রেফতার(Promoter Arrest) হয়েছে পুলিশের হাতে। অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ প্রকারান্তরে স্বীকার করেছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি এ বিষয়ে বলেছেন, ‘এই বাড়ি প্ল্যান থাকতে পারে না। যাঁরা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহতদের সকলেই পাশে টালির বাড়িতে খাকতেন। এক জনের পাপে, অন্য জন শাস্তি পাচ্ছে। এত বড় বাড়ি এত সরু গলিতে হয় না।’

Advertisement
Tags :
Advertisement