বিয়েতে নারাজ কাউন্সিলর, কাঠগড়ায় যুবনেতা, চাঞ্চল্য সোনারপুরে
নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি সুন্দরী। সন্দেহ নেই। এলাকার কাউন্সিলরও। বিয়ের প্রস্তাব তাই আসতেই পারে। তা অপরাধও নয়। কিন্তু প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তাঁকে যে অকথ্য গালিগালাজ শুনতে হবে সেটা তিনি নিজেও জানতেন না। ঘটনার মুখোমুখি হয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ জানালেন দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধেই। নজরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার(Rajpur Sonarpur Municipality) ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর(TMC Councilor) পাপিয়া হালদার(Papiya Haldar)। তিনিই সোনারপুর থানায় দলেরই এক যুব নেতা প্রতীক দে(Pratik Dey) এবং তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভাতেও এই নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন কাউন্সিলর। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সোনারপুরে। তবে যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে সেই প্রতীক দে এই সব অভিযোগ খারিজ করেছেন।
পাপিয়ার অভিযোগ, দলের একাংশ এলাকায় তোলাবাজি চালাচ্ছে। তাতে সমর্থন না দেওয়াতেই তাঁকে বীভৎসভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মানসিক হেনস্থাও। তাঁর অভিযোগ, বাড়ি থেকে বেরলেই কখনও ‘বেশ্যা’, কখনও ‘যৌনকর্মী’… এমন বিভিন্ন অশালীন কটূক্তি করা হচ্ছে তাঁকে। গালিগালাজও বাদ পড়ছে না। পাপিয়ার আরও বক্তব্য, সম্প্রতি তাঁর বাড়িতেও চড়াও হয়েছিল তৃণমূলের ওই যুবনেতার অনুগামীদের একাংশ। তারপর থেকেই চরম মানসিক ও সামাজিক অত্যাচারের ফলে তিনি প্রবলভাবে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন। তাঁকে কাউন্সিলর পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্যও চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমনকী তাঁর প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল? পাপিয়ার দাবি, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বিয়ের প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার ঘটনা। প্রতীক দে নামে ওই যুব তৃণমূল নেতা তাঁকে এককালে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর থেকেই তাঁকে বিভিন্নভাবে অপদস্থ করার কাজ শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও প্রতীক এই সব অভিযোগ খারিজ করেছে। তাঁর দাবি, অভিযোগ করলেই তো হল না, সেটা প্রমাণও করতে হবে। উনি তো থানায় আর পুরসভায় অভিযোগ করেছেন। তো তদন্ত হোক। অভিযোগ সত্যি না মিথ্যা সেটা সামনে আসুক। আর তোলাবাজির যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা আমি করছি না। উনিই করছেন। আমি তাঁর প্রতিবাদ করেছি বলে এখন আমার নামেই মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।