ব্রিগেডের সভার জন্য তৃণমূলকে বিশেষ ট্রেন দিতে অস্বীকার রেলের
নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডের সভার জন্য উত্তরবঙ্গের দলীয় কর্মীদের কলকাতায় নিয়ে আসার জন্য দুটি বিশেষ ট্রেন চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু গত শনিবার আইআরসিটিসি ও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে তৃণমূল নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, জোড়া ট্রেন দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আর ওই চিঠি পাওয়ার পরেই সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে অভিযোগ করা হয়েছে, ষড়যন্ত্র করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাদের আবেদন নামঞ্জুর করেছে। গত বছরের অক্টোবরেও একশো দিনের বকেয়া আদায়ে দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য বিশেষ ট্রেন চেয়ে প্রত্যাখিত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পরে অবশ্য ৫০টি বিশেষ বাসে ১০০ দিনের কাজে জড়িত শ্রমিকদের দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব।
লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে আগামী ১০ মার্চ রবিবার ব্রিগেডে ‘জন গর্জন’ সভার আয়োজন করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই সভায় উত্তরবঙ্গের কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার থেকে দলের কর্মীদের কলকাতায় নিয়ে আসার জন্য ২৯ ফেব্রয়ারি সর্বভারতীয় তৃণমূলের তরফে আইআরসিটিসিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে জোড়া ট্রেনের জন্য আবেদন করা হয়। প্রথম ট্রেনটি ৮ মার্চ আলিপুরদুয়ার থেকে শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত চাওয়া হয়। ১০ তারিখের সমাবেশ শেষে ১১ তারিখ আবারও নেতা-কর্মীরা শিয়ালদহ থেকে আলিপুরদুয়ার ফিরে যাবেন। একই ভাবে ৮ মার্চ নিউ কোচবিহার স্টেশন থেকে আরও একটি ট্রেন শিয়ালদহের জন্য চাওয়া হয়।
কিন্তু গত শনিবার উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের (এনএফআর) তরফে পি কে দেওরি নামে এক আধিকারিক আইআরসিটিসিকে জানিয়ে দেয়, ‘৮ মার্চ নিউ কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার থেকে বিশেষ ট্রেন দেওয়া সম্ভব নয়।’ ওই চিঠি হাতে পাওয়ার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে তৃণমূল শির্ষ নেতৃত্ব। দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেছেন, ‘বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই তৃণমূলকে বিশেষ ট্রেন দিতে অস্বীকার করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পদ্ম শিবিরের এই ধরনের তুচ্ছ প্রয়াসকে উপেক্ষা করে লক্ষ লক্ষ মানুষ ১০ মার্চ জনগর্জন সভায় উপস্থিত হবে। ঐতিহাসিক সমাবেশে কর্মীদের উপস্থিতি আটকানো যাবে না।’