‘জনগর্জন সভা’য় বাড়তি গুরুত্ব বঞ্চিত বাংলার বঞ্চিতদের
নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের(General Election 2024) মুখে শুধু দিল্লি দখলের বার্তা নিয়ে ব্রিগেড নয়, সেখানে গুরত্ব পেতে চলেছে কেন্দ্রের নিকৃষ্টতম বঞ্চনায় বঞ্চিত বাংলার(Bengal) বঞ্চিত গরীব মানুষেরাও। আজও কেন্দ্র সরকার তাঁদের হকের টাকা আটকে রেখেছে। তা সে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মজুরি হোক কী আবাস যোজনার টাকা। এবার সেই সব বঞ্চিত মানুষেরাই বাড়তি গুরুত্ব পেতে চলেছেন আগামী ১০ মার্চ কলকাতার(Kolkata) ব্রিগেডে(Brigade Parade Ground) আয়োজিত হতে চলা তৃণমূলের(TMC) ব্রিগেড সভায়। গ্রাম বাংলা থেকে এবার তাঁদেরকেই যাতে বেশি করে আনা হয় সেই নির্দেশ ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে চলে গিয়েছে দলের সব জেলা নেতৃত্বের কাছে।
জোড়াফুল শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের পক্ষ থেকে বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতিদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, নিজ নিজ এলাকার ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে বঞ্চিত, আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত, বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা থেকে বঞ্চিত, কেন্দ্রের পেনশন ও নানা প্রকল্প থেকে বঞ্চিত মানুষদের খুঁজে খুঁজে ব্রিগেডের মাঠে আনতে হবে। নিজেদের মতো করে শুধু অনুগামীদের নিয়ে এসে ব্রিগেড ভরানো যাবে না। একই সঙ্গে চেষ্টা করতে হবে এই বঞ্চিত মানুষদের জেলা থেকে কলকাতায় আনার ক্ষেত্রে যেন বাস আর ট্রেন বেশি করে ব্যবহার করা হয়। গাড়ি যেন এক্ষেত্রে ব্যবহার না করা হয়। দলের নেতাদের কার্যত সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা কর্মীদের ব্রিগেড। নেতাদের মুখ দেখানোর ব্রিগেড নয়। বাংলায় নানা কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিতদের সংখ্যা প্রায় ৬০ লক্ষ। এর মধ্যে যদি ৬ লক্ষ মানুষও ১০ মার্চ কলকাতার বুকে পা রাখেন তাতেই শহর স্তব্ধ হয়ে যাবে। এর পাশপাশি যদি নেতা, কর্মী, সমর্থকেরা আসেন তাহলে সেই সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে।
তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে কলকাতার বুকে জোড়াফুলের তৃতীয় ব্রিগেড হতে চলেছে ১০ মার্চ। ২০১১ সালে বাংলার ক্ষমতায় আসার পর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ হয়েছিল ব্রিগেডে। তার পর ব্রিগেডে সভা হয় ৫ বছর আগে ২০১৯’র ১৯ জানুয়ারি। আর তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার প্রান্তে প্রান্তে কেন্দ্রের বঞ্চনার বার্তা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর জোড়াফুল শিবির। কেননা মূল লক্ষ্য, বাংলার বুকে ৪২-এ-৪২ এবং দিল্লিতে আঞ্চলিক দলের সরকার গঠন যার নেতৃত্বে থাকবেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ব্রিগেডে এবার বঞ্চিতদের ‘জনগর্জন’কে সার্থক রূপ দিতে চায় জোড়াফুল। ভোটের আগে বাংলার বুকে দলের ক্ষমতা বিরোধীদের কাছে তুলে ধরতে বদ্ধ পরিকর তৃণমূল নেতৃত্ব। লোকসভা নির্বাচনের আগে গোটা দলকে রাস্তায় নামিয়ে, তৃণমূল নেতৃত্ব চাঙ্গা করতে চান সংগঠনকেও।