নতুন লাইসেন্স পেতে আবেদন করতে হবে পরিবহণ দফতরের পোর্টালে
নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়েক বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে একের পর এক ‘Motor Training School’। যেখানে নতুন গাড়ি চালকদের(Drivers) গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ(Driving Lesson) দেওয়া হয়। গাড়ি চালানো শেখা শেষ হলে একটি শংসাপত্র পেয়ে যান তাঁরা। বহু ক্ষেত্রে অর্থের বিনিময় সেই সংস্থাগুলি নতুন চালকদের ‘Learner's Driving License’ পাইয়ে দেন। যার ফলে বহু ক্ষেত্রেই পথ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এমনকি ঘটেছে একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও। এবার সেই সব ঘটনায় রাশ টানতে কড়া পদক্ষেপ করছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবার থেকে গাড়ি চালানোর নতুন লাইসেন্স(Driving Licence) পেতে হলে আবেদন করতে হবে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের পোর্টালে। নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপকদের সেই আবেদন জানাতে হবে পরিবহণ দফতরের ‘সারথি’ পোর্টালে।
রাজ্যের পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলায় এখন খাতায়কলমে সরকারি ভাবে স্বীকৃত Motor Training School’র সংখ্যা ৫৪৭টি। সেই সব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে দফতরের ‘সারথি’ পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। যদি কেউ নতুন গাড়ি চালানো শিখে লাইসেন্স পাওয়ার আবেদন করতে চান, তবে তাঁকে পরিবহণ দফতরের এই পোর্টালে গিয়ে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। সঙ্গে জানাতে হবে তিনি কোন সংস্থা থেকে গাড়ি চালানো শিখছেন। তিনি কি ব্যক্তিগত কারণে গাড়ি চালানো শিখছেন, না কি বাণিজ্যিক কারণে— তা-ও জানাতে হবে ওই পোর্টালে। দেখা গিয়েছে, বহু ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক গাড়ির চালকদের শংসাপত্র দেয় মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলি। পরিবহণ দফতরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দফতরে স্বীকৃত নয় এমন কোনও ‘Motor Training School’ থেকে শংসাপত্র নিলে তা লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে না। কার্যত ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা অলিগলির বেসরকারি মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলিকে শিক্ষা দিতে এই নতুন পদ্ধতি চালু করেছে পরিবহণ দফতর।
এই বিষয়ে ‘Motor Training School’গুলিকে অবগত করতে একটি নির্দেশিকাও তৈরি করেছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। যা খুব শীঘ্রই ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে পাঠিয়ে দিতে হবে। একজন নতুন গাড়িচালককে ৩০ দিন গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে হয়। পরিবহণ দফতরের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই পূর্ণ সময়ে গাড়ি চালানো না শিখলে নতুন চালককে লাইসেন্স দেওয়া যাবে না। সে বিষয়ে পরিবহণ দফতরের স্বীকৃত ‘Motor Training School’ থেকেই নতুন চালকদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরেই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করা সম্ভব হবে। নতুন গাড়ি চালকেরা যাতে সঠিক ভাবে রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারেন, সঙ্গে গাড়ি চালানোর আইন-কানুন প্রসঙ্গে সঠিক ভাবে অবগত থাকেন, সেই কারণেই পরিবহণ দফতর মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলির সঙ্গে নতুন চালকদের জন্য নির্দেশিকা তৈরি করেছে। নতুন নির্দেশিকার ফলে ‘Motor Training School’ এবং চালকদের সুবিধাই হবে। ফলে রাস্তায় পথ দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করছেন রাজ্যের পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরাও।