এনসিইআরটির পাঠ্যবই থেকে বাদ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রসঙ্গ
নিজস্ব প্রতিনিধি : এনসিইআরটি অনুমোদিত স্কুল পাঠ্যবই থেকে বাদ গেল বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ। পুরনো পাঠ্যবইতে চার পাতা জুড়ে অযোধ্যার ইতিহাসের বিবরণ ছিল। কিন্তু নতুন বইতে অযোধ্যার ইতিহাস দুই পাতাতেই শেষ করে দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছে এনসিইআরটির দ্বাদশ শ্রেণির সংশোধিত পাঠ্যপুস্তিকা। চোখে পড়ার মতো সংশোধনী আনা হয়েছে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যবইতে। সেখানে বাবরি মসজিদের নামের কোনও উল্লেখ নেই। পরিবর্তে বাবরি মসজিদকে উল্লেখ করা হয়েছে তিনটি গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপত্য হিসাবে। পাশাপাশি অযোধ্যা নিয়ে যে বিস্তারিত বিবরণ ছিল, সেটিও তুলে নেওয়া হয়েছে। বইতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায়কে মসজিদ তৈরির জন্য দেওয়া হয়েছে আলাদা জমি। এই সিদ্ধান্ত সমাজের অধিকাংশ মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছিলেন। স্পর্শকাতর একটি বিষয়কে কীভাবে দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে গণতান্ত্রিকভাবে সমাধান করা যায়, তার একটি উদাহারণ হল অযোধ্যার রায়।
সম্প্রতি এনসিইআরটির ডিরেক্টর শাকলাঙ্কি জানিয়েছেন, ‘আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য হিংসা ছড়ানো নয়। মানুষের মধ্যে ঘৃণা, হিংসা ছড়ানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। পাশাপাশি আমরা কোনওরকম দাঙ্গাকেও প্রশ্রয় দিতে চাই না।‘