গ্রিসে তীব্র তাপপ্রবাহে পর্যঢক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬, নিখোঁজ অসংখ্য
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গোটা বিশ্বজুড়ে তীব্র দাবদাহে নাজেহাল জনকূল। ইতিমধ্যেই মক্কায় প্রখর গরমে মারা গিয়েছেন ১৩০০ হজযাত্রী। যাঁদের মরদেহ রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। এমন একটি মর্মান্তিক ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গরমের কারণেই মৃত্যু হয়েছে হজযাত্রী দের। নিহতদের মধ্যে অসংখ্য হজযাত্রী বিনা নিবন্ধনে সৌদি আরব পাড়ি দিয়েছেন। তাই তারা সৌদি আরবের শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় থাকতে পারেননি। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই মিশরের, বাংলাদেশ ও ভারত থেকে যাওয়া অনেক হজযাত্রীও মারা গিয়েছেন অতিরিক্ত গরম সহ্য করতে না পেরে। এদিকে গ্রিসেও তীব্র তাপপ্রবাহে ব্যাহত জনজীবন।
সম্প্রতি গ্রিসের ক্রিট দ্বীপে একজন ৬৭ বছর বয়সী জার্মানকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি সোমবার জানিয়েছে গ্রিস পুলিশ। অস্বাভাবিক গরমের জন্যে এই নিয়ে গ্রিসে ষষ্ঠ পর্যটকের মৃত্যু হল। সূত্রের খবর, পর্যটকটি রবিবার সউগিয়া অঞ্চলের একটি গিরিখাতে একাই ভ্রমণের জন্যে রওনা হয়েছিলেন এবং কয়েক ঘন্টা পরে তিনি তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে জানান যে, তাঁর স্বাস্থ্য ভাল লাগছে না। এরপরেই তিনি মারা যান। একজন পুলিশ কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সকে বলেছেন, "একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান ড্রোনের সাহায্যে গিরিখাতে লোকটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।"
তবে নিহত জার্মানীর পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। ভূমধ্যসাগরীয় দেশ জুড়ে জুনে অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহের সময় পর্যটকদের মৃত্যু এবং নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যা তাপমাত্রা ৪০ সেলসিয়াস (104 ফারেনহাইট) ছাড়িয়েছে, যা স্বাভাবিকের অত্যাধিক বেশি। উদ্ধারকারী দল সিকিনোস দ্বীপে আরও ৭৩ এবং ৬৪ বছর বয়সী দুই ফরাসি মহিলার দেহবশেষ খুঁজে পেয়েছেন। গত সপ্তাহে আইওনিয়ান সাগরের গ্রীক দ্বীপ মাথরাকিতে একজন ৫৫ বছর বয়সী আমেরিকানকে মাসের শুরুতে সামোসের এজিয়ান দ্বীপে একজন ডাচ পর্যটককে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল, এছাড়াও ব্রিটিশ টিভি উপস্থাপক মাইকেল মোসলির মৃতদেহ বিমান, ড্রোন এবং নৌকা দ্বারা চারদিনের অনুসন্ধান অভিযানের পর ৯ জুন আরেকটি এজিয়ান দ্বীপ সিমিতে পাওয়া গিয়েছিল। নিখোঁজ হওয়ার আগে তিনি উচ্চ তাপমাত্রায় একা হাঁটতেন।