For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

সন্দেশখালিতে তৃণমূলের সভা ৩ মার্চ, এলাকা ঘুরে দেখল রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশন

রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের কোনও সভা হচ্ছে না সন্দেশখালিতে। সভা হবে ৩ মার্চ। এদিন এলাকায় গিয়েছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল।
02:17 PM Feb 17, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
সন্দেশখালিতে তৃণমূলের সভা ৩ মার্চ  এলাকা ঘুরে দেখল রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশন
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার বসিরহাট মহকুমার(Basirhat Sub Division) সন্দেশখালি-১ ব্লকে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরাদের গ্রেফতারির দাবিতে এক সপ্তাহ আগে পথে নেমেছিলেন সন্দেশখালির মানুষ। তার পর থেকেই উত্তপ্ত সন্দেশখালির পরিস্থিতি। এই নেতাদের বিরুদ্ধে এলাকায় অত্যাচার চালানোর অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এই পরিস্থিতি যখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali) হাতিয়ার করে শাসকদল তৃণমূলকে আক্রমণ করছে, তখন পাল্টা তৃণমূলও সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে একটি সভা করবে বলে ঘোষণা করেছিল। রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি সেই সভা হওয়ার কথা ছিল সন্দেশখালিতে। কিন্তু এদিনই ওই সভার দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার সন্দেশখালিতে তৃণমূলের(TMC) কোনও সভা হচ্ছে না। বদলে ওই দিন সন্দেশখালি যাচ্ছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। তাঁরা গিয়ে সন্দেশখালির স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন এবং একই সঙ্গে ঘোষণা করবেন সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের সভা কবে হতে চলেছে। রাজ্যে চলতে থাকা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৩ মার্চ তৃণমূলের ওই সভা হবে।   

Advertisement

এদিকে এদিনই সন্দেশখালিতে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশন(West Bengal Child Protection Commission)। ৬ জন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এদিন সকালে সন্দেশখালিতে গিয়েছে। ঘুরে ঘুরে গ্রামগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। ওই দলে আছেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস, পরামর্শদাতা সুদেষ্ণা রায়-সহ মোট ৬জন প্রতিনিধি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে এক শিশুর ওপর অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল। শিশুটিকে তার মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন পদক্ষেপ করে। এদিন তাঁরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। এদিন সন্দেশখালি পৌঁছে সুদেষ্ণা জানান, গ্রামের ঘরে ঘরে গিয়ে তাঁরা পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখবেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির কী অবস্থা, সবরকম পরিষেবা পরীক্ষার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। মায়ের কোল থেকে শিশুকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশকে চিঠিও দিয়েছে কমিশন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে জানান সুদেষ্ণা।

Advertisement

সন্দেশখালিতে যে শিশুটিকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল, তার বাড়িতে গিয়ে এদিন দেখা করেন সুদেষ্ণারা। শিশুটির চিকিত্‍সার বন্দোবস্তও করা হয়েছে বলে জানান তাঁরা। কমিশনের হস্তক্ষেপের পর এদিন ওই বাড়িতে মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককে মেডিকেল দল পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। শিশুটির বাড়ি থেকে বেরিয়ে কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাড়িতে কেবল মা এবং সেই শিশু রয়েছে। তাঁরা বাড়ি থেকে বেরোতেই ভয় পাচ্ছেন। ফলে চিকিত্‍সা পরিষেবা মিলছে না। তুলিকা জানান, ‘ওঁরা খুব ভয় পেয়ে আছেন। বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না। আমরা গিয়েই প্রথমে জিজ্ঞাসা করেছি, আপনারা কী চান? শিশুর মা জানান, সে দিনের পর থেকে শিশুটিকে তিনি চিকিত্‍সকের কাছে নিয়ে যেতে পারেননি। চিকিত্‍সার বন্দোবস্ত করা হোক। আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি। শনিবারই বাড়িতে পৌঁছে যাবে মেডিকেল দল। এ ছাড়া, ওঁরা যে হেতু বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না, তাই খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখতে বলেছি।’

একই সঙ্গে পরিবারের নিরাপত্তার বন্দোবস্তও করা হয়েছে বলে জানান তুলিকা। কমিশন স্থানীয় থানায় ওই পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে। তাঁদের বাড়ির সামনে এক জন পুরুষ এবং এক জন মহিলা পুলিশ কর্মী বহাল থাকবেন। কমিশনের চেয়ারপার্সনের কথায়, ‘যেহেতু ওঁরা ভয়ে আছেন। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ওদের দিয়ে এসেছি। প্রতি দিন সকালে ফোন করে খবর নেব বলে জানিয়েছি। ওদের আশ্বস্ত করার যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি।’ উল্লেখ্য, ওই শিশুর মা এর আগে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘১০ ফেব্রুয়ারি মুখে কালো কাপড় বেঁধে পুলিশ এসেছিল। ওদের কারও কারও পায়ে জুতো ছিল না। কেউ আবার চপ্পল পরে এসেছিল। বাইরে থেকে আমার স্বামীকে ডাকছিল। দরজা না খোলায় গালাগালি করে। সন্দেশখালি থানার এক জন ছিল। ওরা আমার কোল থেকে বাচ্চা ফেলে দিয়েছিল। আমার চুলের মুটি ধরে টানে। এমনকি পুরুষ পুলিশ নাইটি টেনেছিল।’ এরা কারা সেটা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। তবে শাসকদলের অভিযোগ, RSS ও বামেরা বাইরে থেকে বহিরাগত এনে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

Advertisement
Tags :
Advertisement