একাধিক দফায় নয়, ১০ আসনে উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের
নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনে এবারে বাংলার(Bengal) বুকে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) এবং বিজেপি উভয়ই নিজ নিজ দলের একাধিক বিধায়ককে ভোট লড়াই করার টিকিট দিয়েছিল। আবার বিজেপির ৩ বিধায়ক ভোটের আগে ও মুখে যোগ দেন তৃণমূলে এবং তাঁরা বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেন। সেই সুবাদেই লোকসভা নির্বাচনের ভোটের ফল বার হওয়ার পরে দেখা যায়, রাজ্যের ৬জন বিধায়ক এবারে সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সেই ৬জনের বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের(Bye Elections) প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি ৩জন বিধায়ক তাঁদের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় সেই ৩ আসনেও ভোটের প্রয়োজনীয়তা এসে পড়েছে। আবার ভোট চলাকালীন সময়ে রাজ্যের অপর একটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে আইনি সমস্যা দূর হয়ে যাওয়ায় সেই আসনেও ভোট জরুরি হয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে রাজ্যের মোট ১০টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ডঙ্কা বেজে উঠেছে। এর মধ্যে কমিশন(ECI) ৪টি আসনে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিলেও, বাকি ৬ আসনের ক্ষেত্রে তা করেনি। এই অবস্থায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস চিঠি দিল নির্বাচন কমিশনকে। তাঁদের দাবি, একাধিক দফায় নয়, ১০ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হোক ১ দফাতেই।
গতকালই জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্যের ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। সেই ৪ কেন্দ্র হল কলকাতার মানিকতলা, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা। আগামী ১০ জুলাই এই ৪ কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে এবং ১৩ জুলাই সেই ৪ কেন্দ্রের ভোট গণনা ও ফল প্রকাশ হবে। কিন্তু তারপরেও আরও ৬ কেন্দ্রে ভোট বাকি থাকছে। সেই ৪ কেন্দ্র হল কোচবিহার জেলার সিতাই, আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলার তালড্যাংরা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি ও হাড়োয়া। সেই ৬ কেন্দ্রে আবার কবে উপনির্বাচন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের মোট ১০টি বিধানসভা কেন্দ্রে দফায় দফায় উপনির্বাচন না করে তা এক দফাতেই করতে। তাঁদের দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্যে সাত দফায় লোকসভার ভোট হয়েছে। এভাবে বারবার নির্বাচন হলে অসুবিধা তৈরি হচ্ছে। প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। কেননা একটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘোষিত হলেই সেই জেলায় আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে যায়। আর তখন সরকারি কাজের ক্ষেত্রেও অসুবিধা হয়।