বৃহস্পতিতে ব্রিটেনে সংসদ নির্বাচন, লড়াইয়ের ময়দানে রেকর্ড প্রার্থী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটেনের সংসদ নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবার(৪ ই জুলাই)। একে একে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোট দান পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৯৪৫ সালের পর ব্রিটেনে প্রথম বারের মতো জুলাই মাসে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোট দান পর্ব চলবে রাত ১০টা অবধি।
স্থানীয় স্কুল এবং কমিউনিটি হলের মতো ভবনগুলোতে স্থাপিত ভোট কেন্দ্রে ভোট দেবেন লক্ষ লক্ষ ভোটাররা। হাউজ অব কমন্সের ৬৫০ জন পার্লামেন্ট সদস্যকে নির্বাচন করবেন প্রায় ৪ কোটি ৬০ লক্ষ ভোটার। আগামী পাঁচ বছরের জন্য ওয়েস্টমিনস্টারে নিয়ন্ত্রণ যাবে কার হাতে? বৃহস্পতিবার তার রায় দেবেন ব্রিটেনবাসী। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ কমন্স’-এর ৬৫০ আসনের ভোটগ্রহণের পরেই শুরু হয়ে যাবে গণনা।
প্রতিটি এলাকা বা নির্বাচনী এলাকার ফলাফল বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে। তবে এই ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠনের জন্য অর্ধেকেরও বেশি আসন অর্থাৎ ৩২৬ আসনে জয়ী হতে হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনে যদি কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না পায়, সেক্ষত্রে এটা ঝুলন্ত পার্লামেন্ট বলে বিবেচিত হবে। এমন অবস্থায় তুলনামূলক সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দলটি অন্য দলের সঙ্গে জোট সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অথবা সংখ্যালঘু সরকার হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে পার্লামেন্টে কোনো আইন পাস করানোর জন্য অন্যান্য দলের ভোটের ওপর নির্ভর করতে হবে তাঁদের।
মে মাসে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন। বলা হয়েছিল, একজন ব্রিটিশ নাগরিক বা কমনওয়েলথ বা রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের যোগ্য নাগরিক যার বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি এমন যে কেউ ভোটে অংশ নিতে পারবেন। তেব এবারের ভোটে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) ডুবতে চলেছে বলেই বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত। যদিও প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টার্মার।
নিয়ম অনুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে ব্রিটেনে ভোট করাতে হবে। এবার আসন জেতার লড়াই চলছে। ছোট–বড় প্রায় ৯৮টি রাজনৈতিক দল ভোটে অংশগ্রহণ করছে। ২০১০ সালের নির্বাচনে ৪ হাজার ১৫০ জন প্রার্থীর রেকর্ড ভেঙে এবার ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী হয়েছেন। এক এক টি আসনে গড়ে ৭ জন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩১৭টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ৪৫৯ জন। তবে জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস, লেবার পার্টি ৪০ শতাংশ ভোট পেতে চলেছে। টোরিরা (কনজারভেটিভ পার্টি) পাবে ২০ শতাংশের সামান্য বেশি।