ব্রিটেনের সংসদ নির্বাচনে চার বাংলাদেশি কন্যার বাজিমাত
নিজস্ব প্রতিনিধি, লন্ডন: ব্রিটেনে দীর্ঘ ১৪ বছর বাদে ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে। ঋষি সুনকের কনজারভেটিভ পার্টিকে সরিয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে লেবার পার্টি। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে লেবার পার্টি থেকে আটজন, কনজারভেটিভ পার্টি থেকে দুজনসহ অন্যান্য দলের মনোনয়নে এবং নির্দল প্রার্থী হিসেবে মোট ৩৪ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লড়াই করেছেন। তার মধ্যে জয়ী হয়েছেন মাত্র চার জন। আর চার জনই মহিলা। কারা-কারা জয়ী হলেন, দেখে নেওয়া যাক-
রুশনারা আলী- ব্রিটেনের সংসদে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিসাবে সাংসদ হওয়ার কৃতিত্ব গড়েছিলেন রুশনারা আলী। লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে ২০১০ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার পরে আর পিছন পানে তাকাননি। এ নিয়ে টানা পাঁচ বার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হলেন তিনি। এবার তিনি তিনি বেথনালগ্রিন অ্যান্ড স্টেপনি আসন থেকে ১৫ হাজার ৮৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১০ থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক ছায়ামন্ত্রীর পাশাপাশি ২০১৩ সালের অক্টোবরে ছায়া শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। কিয়ের স্টারমারের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেতে পারেন তিনি।
রূপা হক- পশ্চিম লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসন থেকে ফের জয়ী হয়েছেন রূপা হক। লেবার পার্টির হয়ে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৬ সালের অক্টোবরে লেবার পার্টির ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। নিকটতম প্রতিদ্ধন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী জেমস উইন্ডসর ক্লাইভকে ১৪ হাজার ভোটে হারিয়েছেন। রুপা হকের পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশের পাবনা জেলার মুকসেদপুরে।
টিউলিপ সিদ্দিক- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে। ২০১৫ সালে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে প্রথমবার লেবার পার্টির হয়ে ভোটের ময়দানে নেমেই বাজিমাত করেছিলেন। টিউলিপ ২০১৬ সাল থেকে ছায়া শিক্ষামন্ত্রী, সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের ভাইস চেয়ারপার্সনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছেন।
আপসানা বেগম-- পূর্ব লন্ডনের পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসন থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে প্রথমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন। আপসানার জন্ম ও বেড়ে ওঠা টাওয়ার হ্যামলেটসেই। তাঁর আদি বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে। গাজায় ইজরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ব্রিটিশ সংসদে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিয়ে চর্চায় চলে আসেন।