OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

রাজারহাট, বেহালা, নিউটাউনে যে নগরায়ন হয়েছে তা ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ

ভূমিকম্পের হাত থেকে কলকাতা কতখানি নিরাপদ? এর উত্তরে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং জনঘনত্ব কলকাতার বিপদ বাড়িয়েছে অনেকখানি।
10:46 AM Nov 05, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: হিমালয়ের(The Great Himalaya) কোলে থাকা নেপাল(Nepal) বার বার কেঁপে উঠছে ভূমিকম্পে(Earthquake)। একের পর এক সেখানকার গ্রাম থেকে শহর এলাকা কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিচ্ছে। ঘটছে মৃত্যুমিছিলের ঘটনাও। দেখা যাচ্ছে সেই সব ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে কলকাতা(Kolkata) সহ বাংলার(Bengal) বিস্তীর্ণ এলাকা। সব থেকে বেশি প্রভাবিত হচ্ছে উত্তরবঙ্গও। এই পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিককালে নেপালের বুকে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের তান্ডবলীলা ও মৃত্যুমিছিল দেখার পাশাপাশি খাস কলকাতাতেও কম্পনের টের পাওয়া যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জনমানসে প্রশ্ন উঠেছে, ভূমিকম্পের হাত থেকে কলকাতা কতখানি নিরাপদ? এর উত্তরে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন(Unplanned Urbanization) এবং জনঘনত্ব(Population Density) কলকাতার বিপদ বাড়িয়েছে অনেকখানি। বিশেষ করে পূর্ব কলকাতা এবং রাজারহাট, বেহালা, নিউটাউনে যে নগরায়ন হয়েছে তা ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বেশি দিন নয়, ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসেও নেপালের বুকে এক বড়সড় ভূমিকম্প ঘটে যায়। সেবার কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত যে কম্পনের সাক্ষী হয়েছিল, সেই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপালের গোর্খা জেলার বারপাক। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। সেই কম্পনে নেপাল থেকে বহু দূরে কলকাতায় কিছু বাড়িতে ফাটল পর্যন্ত ধরেছিল। আবার সিকিমের বুকে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পেও দেখা গিয়েছে শিলিগুড়ির একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে। আবার নেপালের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে দিল্লিতেও। বিশেষজ্ঞদের দাবি, গোটা নেপালটাই কার্যত হিমালয়ের কোলে ও পাদদেশে অবস্থিত। আর হিমালয় পৃথিবীর সব থেকে নবীন ভঙ্গিল পর্বত যার গঠনকার্য এখনও চলছে। তাই সেখানে ভূমিকম্প ঘটবেই। আর নেপালের বুকে যতবার কম্পন হবে ততবার কেঁপে উঠবে উত্তর ও পূর্ব ভারত। নেপালের পশ্চিম দিকে ভূমিকম্পের উৎস হলে জোর ঝটকা লাগবে দিল্লিতে, যেমনটি হয়েছে গত শুক্রবার। আবার নেপালের পূর্ব দিকে ভূমিকম্পের উৎস হলে কেঁপে উঠবে গোটা উত্তরবঙ্গ।

কলকাতার বিপদ কোথায়? বিশেষজ্ঞদের দাবি, হিমালয়ের পাদদেশে থাকা সব এলাকাই ভূমিকম্পপ্রবণ। সেদিক থেকে কলকাতা ভূমিকম্পপ্রবণ ও মৃদু ভূমিকম্পপ্রবণ জ়োনের মধ্যে পড়ে। তবে সেই ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হতে পারে, তা নির্ভর করছে কতটা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে হচ্ছে নগরায়ন, তার ওপর। শুক্রবার কম্পনের যা মাত্রা ছিল, তাতে নেপালে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা দেখা যাচ্ছে অনেক বেশি। কারণ, পাহাড়ের বুকে অপরিকল্পিত ভাবে নগরায়ন এবং জনঘনত্ব। যে এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছে সেই জাজারকোট জেলায় প্রায় ২ লক্ষ মানুষের বসবাস। যেখানে ২০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস থাকারই কথা নয়, সেখানে যদি ২ লক্ষ মানুষ থাকেন তাহলে তো মৃত্যুমিছিল অবধারিত। সেই সঙ্গে সেখানকার ঘরবাড়ি যা সবই এখন ধ্বংসস্তূপ তা নির্মীত হয়েছিল ভারী পাথর, কাঠ আর মাটি দিয়ে। মাটি কাঁপলে সেগুলি তো ধসে পড়বেই। আর সেই ধসের জেরেই নেপালে এখন শয়ে মানুষ হয় নিহত নাহয় নিখোঁজ। ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে বৃহত্তর দিল্লি সিসমিক জ়োন-৪ এর মধ্যে পড়ে আর উত্তরবঙ্গ জ়োন-৫ এলাকাভুক্ত। আর সেই কারণেই কলকাতার থেকেও বিপদ বেশি দিল্লি ও উত্তরবঙ্গের।  

হিমালয়ের নীচে থাকা ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের ক্রমাগত সংঘর্ষের ফলে হিমালয় তৈরি হয়েছিল। এই কার্যকলাপের ফলে নিয়মিত কম্পন হয়, যা এই অঞ্চলটিকে ভূমিকম্প এবং ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কেন্দ্রস্থল করে তুলেছে। ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে ভূমিকম্পের আরও আশঙ্কা থাকছে। শুক্রবার কম্পনের মাত্রা যা ছিল, তার থেকে আরও বেশি কম্পন হলেও মৃত্যু এবং ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে--এমন উদাহরণও কিন্তু রয়েছে বিস্তর। এ ক্ষেত্রে ক্ষতির মূল কারণ, জনঘনত্ব এবং বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের নকশা। কলকাতার মতো শহরের নির্মাণ যদি বিজ্ঞানসম্মত হয়, তা হলে ক্ষতি কম হবে। অপরিকল্পিত নগরায়নের মূল্য চোকাতে হয়েছে উত্তরাখণ্ডের জোশিমঠকে। বাংলার রানাঘাট থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত একটি এলাকা ভূমিকম্পের সম্ভাবনার নিরিখে যথেষ্ট উদ্বেগজনক জায়গায় রয়েছে। আবার মাটির ধারণক্ষমতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর না দিয়ে যেভাবে নগরায়ন হচ্ছে, তার জন্য কলকাতার ঝুঁকিও কিছু কম নয়। পূর্ব কলকাতায় জলাভূমি বুজিয়ে যে নগরায়ন হয়েছে বা রাজারহাট, বেহালা, নিউটাউনে যে নগরায়ন হয়েছে, সেটাও ঝুঁকিপূর্ণ বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।  

Tags :
bengalearthquakeKolkataNepalPopulation Density.The Great HimalayaUnplanned Urbanization
Next Article