প্রকৃতির সৌন্দর্য্যে ভরপুর বৈকুণ্ঠপুর অরণ্য ! নিজের চোখেই দেখে আসুন
নিজস্ব প্রতিনিধি : সুন্দরবনের থেকে আরও একটি বিশাল অরণ্যের নাম বৈকুণ্ঠপুর। ডুয়ার্সের কিছুটা পশ্চিম ভাগ,হিমালয়ের পাদদেশের কিছুটা দক্ষিণ ভাগ নিয়ে অবস্থিত। খানিকটা দার্জিলিং এবং খানিকটা জলপাইগুড়ি জেলায় বিস্তৃত বৈকন্ঠপুর।
এখানকার স্থানীয় লোকের বিশ্বাস, এখানে মহাভারতের যুগে আশ্রয় নিয়েছিলেন স্বয়ং কৃষ্ণ। যে কারণে ইসকনের এক বড়োসড়ো কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে শিলিগুড়িতে। আরেকটি কারণে এই জঙ্গল বিখ্যাত। দেবী চৌধুরানির মন্দির রয়েছে এখানে।
বৈকুণ্ঠপুর অরন্যের আদিম সৌন্দর্য দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। এখানে রয়েছে বুনো হাতির বাস। বনের কিছু অংশে নির্বিঘ্নেই থাকে জীবজন্তুরা। ফুলবাড়ির কাছেই রয়েছে বৈকুন্ঠপুর ফরেস্ট। এই জঙ্গলটি দেখার মতো, মনে হয় বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে কে যেন সবুজের চাদর ফেলে রেখেছে। বর্ষাকালে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো আর সাফারির মজা একমাত্র এখানেই পাওয়া যায়।
এছাড়াও এই অঞ্চল উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের সমৃদ্ধি এবং বৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে রয়েছে ভারতীয় হাতি, ভারতীয় বাইসন, চিতল (দাগযুক্ত হরিণ), বার্কিং ডিয়ার, সাম্বার হরিণ, রিসাস বানর এবং বন্য বিড়ালের মতো ছোট বিড়ালের অনেক প্রজাতি। পাখির মধ্যে রয়েছে, ব্রাহ্মণ্য হাঁস, বার-হেডেড হংস, পোচার্ড, পিনটেল, শোভেলার, ম্যালার্ড, ব্ল্যাক আইবিস এবং মানিয়া প্রজাতির সারস, করমোরান্ট এবং হাঁস সহ নানান ধরনের পাখি।
কীভাবে যাবেন কলকাতা থেকে : এখানে যাবার বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। বাস ভাড়া করেও যাওয়া যায়।অথবা শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া থেকে ট্রেনে পৌঁছে যেতে হবে নিউ কোচবিহার। সেখান থেকে সড়কপথে পৌঁছে যেতে পারেন।