OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

অমর্ত্যের জমি বিতর্ক মামলা প্রত্যাহারের ভাবনা বিশ্বভারতীর

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ জমানার অবসান ঘটতেই এবার অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কও সম্ভবত শেষের দিকেই এগোচ্ছে।
05:47 PM Dec 14, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে(Viswabharati University) বিদ্যুৎ জমানার অবসান ঘটতেই এবার বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক ও নোবেলজয়ী মানুষ অমর্ত্য সেনের(Aamrtya Sen) জমি বিতর্কও সম্ভবত শেষের দিকেই এগোচ্ছে। কেননা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই মামলা আর বেশি টেনে নিয়ে যেতে চান না। তাঁরা মামলা প্রত্যাহার করার কথা ভাবনাচিন্তা করছেন। সম্ভবত আগামী ৬ জানুয়ারি তাঁরা সিউড়ি জেলা আদালতে(Suri District Court) তা লিখিত ভাবে জানাতে পারেন। যদিও সরকারি ভাবে এখনও এই বিষয়ে তাঁরা কিছু জানাননি। মামলা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে অন্যতম যুক্তি হিসাবে উঠে আসছে যে, এই মামলা কার্যত বিশ্বভারতীর সম্মানকেই ভূলন্ঠিত করেছে বিশ্বের দরবারে।  

অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক মামলায় গত ১১ ডিসেম্বর সিউড়ি জেলা আদালতে শুনানি ছিল। সেখানে সেদিন আদালত সরাসরি বিশ্বভারতীর কাছে প্রশ্ন রাখে যে, কীসের ভিত্তিতে জায়গা বেদখল হয়েছে বলা হচ্ছে? বিশ্বভারতীর জমি সংক্রান্ত সার্ভের রিপোর্টই(Land Related Survey Report) বা কী, সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত। অমর্ত্যবাবুর আইনজীবী সৌমেন্দ্র রায়চৌধুরী সেদিন আদালতকে শুনানিকালে জানান, বাড়তি জমি দখল করে রয়েছে বলে বিশ্বভারতী যে দাবি করছে তা ঠিক নয়। কোন জায়গাটা বাড়তি দখল রয়েছে সেটাও তারা বলেনি। পাশাপাশি যেসব নথি দেওয়া হচ্ছে তাও ‘ম্যানুপুলেটেড’। তাঁর দাবি, ‘ওরা যখন বলছে লিজ দেওয়া হয়েছে তাহলে বেআইনি দখল করলাম কীভাবে? ওরা জরিপ করে দেখান কোন জায়গাটা বেআইনিভাবে দখল করা হয়েছে। আমরা আমাদের যাবতীয় তথ্য আদালতের সামনে রেখেছি। এরপর পরবর্তী দিন ওরা যা বলার বলবে।’ যদিও বিশ্বভারতীর তরফ থেকে এই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।  

তবে সেদিন আদালত জানিয়ে দিয়েছে, কীভাবে সার্ভে হয়েছিল, কোন পদ্ধতি মেনে সার্ভে হয়, নোটিস দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত প্রক্রিয়াটি কী তা পরবর্তী শুনানির দিন অর্থাৎ ৬ জানুয়ারি বিশ্বভারতীর আইনজীবীকে জানাতে নির্দেশ দেন বিচারক। কীসের ভিত্তিতে জায়গা বেদখল হয়েছে বলা হচ্ছে তা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাতে নির্দেশ দেন তিনি। শান্তিনিকেতনের অমর্ত্য সেনের প্রতীচী(Pratichi) বাড়ির জমি নিয়ে বিতর্ক বহু বছরের। বিশ্বভারতী দাবি করে, অমর্ত্য সেন ১৩ শতক জমি জবরদখল করে বসবাস করছেন। তাঁর লিজ নেওয়া জমির পরিমাণ ১.২৫ একর। কিন্তু তিনি ১.৩৮ একর জমি দখল করে রেখেছেন। এরপর সেই ‘বাড়তি’ ব্যবহৃত জমি খালি করার নোটিস টাঙানো হয় প্রতীচী বাড়ির সামনে। গত ১৯ এপ্রিল একেবারে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে হুঁশিয়ারি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ স্থগিত থাকে। এখন সেই মামলায় সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারধীন। ফের ৬ জানুয়ারি মামলাটির পরবর্তী শুনানি দিন।

Tags :
Amartya SenLand Related Survey ReportPratichi.Suri District Court.Viswabharati University
Next Article