ইরানে সংসদ নির্বাচনে ভোট দানের হার কম, কীসের ইঙ্গিত
নিজস্ব প্রতিনিধি : সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হল ইরানে সংসদ নির্বাচন। ভোট দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেনি। ২৯০ আসন বিশিষ্ট ইরানের সংসদ নির্বাচনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৫ হাজার ২০০ জন প্রার্থী। সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হল বিশেষজ্ঞ পরিষদের নির্বাচন।
এদিন সকাল আটটা থেকে ইরানে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এদিন সারা দেশ জুড়ে ৫৯ হাজার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। শুধুমাত্র রাজধানী তেহরানেই পাঁচ হাজার কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। তেহরানের আশেপাশের এলাকায় ৬৮০০টি কেন্দ্রেও ভোট গ্রহণ হয়। এদিন সকালে ভোট দেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়তুল্লাহ খামেনি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দেশবাসীকে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান খামেনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, দেশে সঠিক প্রশাসন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নির্বাচন হচ্ছে অন্যতম স্তম্ভ। দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্বাচন হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকলকে ভোট দিতে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। জানা গিয়েছে, খামেনির আবেদন সত্বেও খুব বেশি মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য বেরিয়ে আসেনি। ভোট দানের হার এবারেও কম। এর ফলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা, এবারের নির্বাচনের ফলাফল বর্তমান সরকারের বিপক্ষে নাও যেতে পারে।
এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যখন শেষবার ইরানে নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে বেরিয়ে এসেছিলেন। এবার ২০২১ সালে যখন ইরানে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন হয়েছিল তখন ৪৮ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। এবারে ১৫ হাজার ২০০ জন প্রার্থী নির্বাচনী যুদ্ধে নেমেছেন। ১৯৭৯ সালের পর এত বেশি সংখ্যক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করেনি। প্রার্থীদের মধ্যে এবারে মহিলা প্রার্থীদের সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এবারে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১ হাজার ৭১৩ জন মহিলা প্রার্থী রয়েছেন। গত বার এই মহিলা প্রার্থীদের সংখ্যা ছিল ৮১৯ জন। সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি ৮৮ আসন বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ পরিষদেও এদিন নির্বাচন হয়।