বর্ষা নিয়ে বার বার গোঁত্তা খাচ্ছেন আবহাওয়া দফতরের কর্তারা
নিজস্ব প্রতিনিধি : আলিপুর আবহাওয়া দফতরের থেকে ভরসা উঠে যাচ্ছে বঙ্গবাসীর। কেন বলুন তো? দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঠিক কবে আসবে, সেকথা জোর গলায় বলতে পারছেন না আবহাওয়া দফতরের কর্তারা। শেষ পর্যন্ত রাজ্যবাসীকে বসে থাকতে হচ্ছে বরুণ দেবতা কবে কৃপা করেন তার ওপরই। একটা সময়ে আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা ছিলেন রাজেন্দ্র গোলদার। তিনি যা পূর্বাভাস করতেন, তার কোনও কিছুই মিলত না। অনেকের মনেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তাহলে কী ‘গোলদার যুগ’ ফের শুরু হতে চলেছে।
সপ্তাহখানেক আগে আবহাওয়া দফতরের থেকে জানানো হয়েছিল, ১৩ বা ১৪ জুন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকে যাবে। কিন্তু আখেড়ে দেখা গেল দক্ষিণবঙ্গে দু-এক জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত ছাড়া কিছুই হয়নি। সাম্প্রতিককালে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে যা বলা হচ্ছে, অনেকক্ষেত্রেই তা মিলছে না। অনেকেরই প্রশ্ন, লাখ লাখ টাকা খরচ করে যেখানে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে সেখানে কেন আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া যাচ্ছে না। এদিনও ফের বর্ষা আসা নিয়ে আশার বানী শুনিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, বর্ষা আসতে এখনও চার দিন দেরি রয়েছে। অর্থাৎ শুক্রবারের আগে বর্ষা ঢোকার কোনও প্রশ্ন নেই। মঙ্গলবার থেকে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু শক্তি সঞ্চয় করবে ও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকে যাবে। এই কথা বলার পিছনে একটি যুক্তিও দেখিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তাঁদের মতে, বিহার থেকে অসম পর্যন্ত একটি মৌসুমী অক্ষরেখা বিস্তৃত হয়েছে। তার সাহায্যে মৌসুমী বায়ু দক্ষিণবঙ্গে জোরালো হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বর্ষা আসা নিয়ে ভবিষ্যৎবানী করলেও তার ওপর ভরসা করতে পারছেন না বঙ্গবাসী।
এদিন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। ফলে আবহাওয়া দফতরের কর্তারা এখনও জোর গলায় বলতে পারছেন না, কবে থেকে পুরোপুরি বর্ষা শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গে।