সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে ফোন করলেই চাকরি! কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী…
নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর বাংলাজুড়ে একাধিক আর্থসামাজিক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। যদি কোনও রাজ্যবাসীর সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’(Sarasari Mukhomantri)-তে আবেদন জানানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে ফোন করলে যে চাকরিও মেলে সেকথা কে জানত! কেউই জানতো না। তবে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার তিনি শিলিগুড়ির(Silliguri) কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে সেই রহস্য ফাঁস করে দিলেন। ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে যারা চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন তাদের জন্য বড় বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মহিলা ও পড়ুয়াদেরও।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, ‘অনেকেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে চাকরির আবেদন করেন। তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যখন চাকরি হবে ওই লিস্ট থেকে যোগ্যতা অনুযায়ী অবশ্যই তাঁরা ডাক পাবেন। পাশাপাশি যে সমস্ত তরুণ প্রজন্ম আবেদন করেছিলেন তাদের ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে পাঁচ লাখ টাকা করে ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। সেক্ষেত্রে তাঁরা লোন নিয়ে ব্যবসা করতে পারে, দোকান করতে পারে, মেয়েরা বিউটি সেলুন করতে পারে। অথবা ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের লোন নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। ২ লাখ মানুষকে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডে পাঁচ লাখ টাকা লোন দেওয়ার কথা। তাঁদের মধ্যে ৭০ হাজার দেওয়া হয়েছে। এখনও ১ লাখ ৩০ হাজারকে দেওয়া বাকি।’
এদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং বিধবা ভাতা নিয়েও একগুচ্ছ বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। যারা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পে আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁদের প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘আমার কাছে ৯ লাখ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের(Lakhir Bhandar) আবেদন এবং ১২ লাখ বিধবা ভাতার আবেদন রয়েছে। নতুন বছরে আপনারা নির্দিষ্ট যাচাই প্রক্রিয়ার পর সেগুলো পেয়ে যাবেন। একই পরিবারের একাধিক মহিলা সদস্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতে পারেন। ৬০ বছর পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকরা সরাসরি বিধবা ভাতা পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হবে না। ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে পেনশন হিসাবে পেয়ে যাবেন।’
তিনি এদিন বার্তা দিয়েছেন পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যেও। জানিয়েছেন, ‘আপনাদের এখান থেকে রাজ্য জুড়ে ৮৭৭৬টি সরকারি স্কুল ও মাদ্রাসা স্কুলের ছাত্রদের প্রায় ১২.২০ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া শুরু হল আজ। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্য সাইকেল পেয়ে যাবেন সব যোগ্য পড়ুয়ারা। সবুজসাথীর(Sabujsathi) এই প্রকল্পে ইতিমধ্যে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। স্মার্টফোনটা পরের মাসে পাবেন পড়ুয়ারা। তবে আগামী মার্চের মধ্যেই আরও ১ লক্ষ ৩০ হাজার ছেলে মেয়েকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেব ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ডের জন্য।’ বস্তুত মুখ্যমন্ত্রীর এই সব আর্থসামাজিক প্রকল্পের জন্যই বাংলাজুড়ে তৃণমূলের আধিপত্য বজায় রয়েছে। নরেন্দ্র মোদি ও তা৬র দল বিজেপি হাজার চেষ্টা করেও বাংলার ক্ষমতা দখল করতে পারেনি।