২৬ দিন ধরে কী করছিলেন? নির্বাচনী বন্ড তথ্য নিয়ে SBI-কে তুলোধনা সুপ্রিম কোর্টের
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নির্বাচনী বন্ডের তথ্য জমার সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে তিরস্কারের মুখে পড়তে হল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে। আজ সোমবার মামলার শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ এসবিআইয়ের আইনজীবীকে তিরস্কার করে বলেন, ‘নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি। তার পরে ২৬ দিন ধরে কী করছিলেন? আচমকাই সময় বাড়ানোর আর্জি নিয়ে কেন হাজির হলেন?
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এক রায়ে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে ওই বন্ড বাতিল হওয়া উচিত বলেও জানিয়ে দেয়। রায় দিতে গিয়ে শীর্ষ আদালত বলেছিল, নির্বাচনী বন্ড তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনকে লঙ্ঘন করছে। একই সঙ্গে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ককে (এসবিআই) এই ধরনের বন্ড বিক্রির নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতিরা। আগামী ৬ মার্চের মধ্যেই এসবিআইকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে জমা পড়া অনুদান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে অনুদান সংক্রান্ত তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করারও নির্দেশ দিয়েছিল পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ।
ওই সময়সীমা শেষ হওয়ার মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগেই বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার সময় বৃদ্ধি করার আর্জি নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় এসবিআই। আর্জিতে ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (ওই দিনই শীর্ষ আদালত নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছিল) ২২ হাজার ২১৭টি বন্ড বিক্রি হয়েছে। ওই বিশাল সংখ্যক বন্ডের তথ্য জমা দিতে সময়ের প্রয়োজন।কিন্তু এসবিআইয়ের ওই চেঁধো যুক্তি মানতে রাজি হননি দেশের ব্যাঙ্কিং সেক্টরের সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞরা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গ জানিয়েছেন, নির্বাচনী বন্ড নিয়ে তথ্য মজুত রয়েছে এসবি্আইয়ের কাছে। নির্বাচনী বন্ড নিয়ে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন কমিশনকে তথ্য জমা না দেওয়ায় এসবিআইয়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর)।