রেণুকাস্বামী হত্যাকাণ্ডে জড়িত দর্শন ও পবিত্রার মধ্যে আদৌ কী সম্পর্ক?
নিজস্ব প্রতিনিধি: গতসপ্তাহ থেকেই সংবাদের শিরোনামে রয়েছেন কন্নড় অভিনেতা দর্শন। যাঁকে তাঁর বড় ভক্ত রেণুকাস্বামীকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তিনি নন, মোট ১৪ জনকে এই মামলায় হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগ, অভিনেতার দীর্ঘদিনের প্রেমিকা তথা অভিনেত্রী পবিত্রা গৌড়াকে অশ্লীল ও অবমাননাকর পোস্টের জন্যেই কৌশলে রেণুকাস্বামীকে খুন করেছেন দর্শন। আর এই হত্যার পেছনে তিনি নিজের একাধিক বন্ধুকে কাজে লাগান। শুধু দর্শনই নয়, এই হত্যাকাণ্ডে পবিত্রা গৌড়াকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্তে একাধিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। দর্শনের সামনেই রেণুকাস্বামীকে হত্যা করা হয়েছে হলে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে।
তবে জানা যায়, দর্শনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। কিন্তু তাও পবিত্রা গৌড়ার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। তাঁদের প্রায় ১০ বছরের সম্পর্ক। কিন্তু আদৌ কি দর্শনকে বিয়ে করছিলেন পবিত্রা? সম্প্রতি রেণুকাস্বামী হত্যাকাণ্ডে দর্শনের আইনজীবী একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পবিত্রা মোটেও দর্শনের দ্বিতীয় স্ত্রী বা অংশীদার ছিলেন না। তারা শুধু ভাল বন্ধু ছিলেন। বিজয়লক্ষ্মী দর্শনের বিবাহিত স্ত্রী এবং পবিত্রা কেবল একজন 'সহ-অভিনেতা এবং বন্ধু'।আইনজীবী আরও বলেন, “পবিত্রা গৌড়া দ্বিতীয় স্ত্রী, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সে শুধু একজন বন্ধু। তারা সহ-অভিনেতা ছিলেন এবং এখন তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, অন্য কিছু নয়। আর রেণুকাস্বামীর হত্যার সঙ্গে দর্শনের কোনও সম্পর্ক নেই। অপরাধের দৃশ্যে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ঘটনার সময়ে অভিনেতা গাড়িতে ছিলেন না। দর্শন এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। আর সিসিটিভিতে ধরা পড়া গাড়িটি দর্শনের কিনা, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। এ মামলায় দর্শন মোটেও জড়িত নয়। তাই সে কাউকে টাকা দিয়েছে কিনা বা কত টাকা দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নই ওঠে না। সে এ বিষয়ে কিছুই জানে না।” এদিকে রেনুকাস্বামিকে উদ্ধারকৃত গাড়ি উদ্ধার হয়েছে।
দর্শন ২০০৩ সালে বিজয়লক্ষ্মীকে বিয়ে করেন দর্শন। তাঁদের পুত্র বিনীশ রয়েছে। এই বছরের জানুয়ারিতে, পবিত্রা ভক্তদের চমকে দিয়েছিলেন যখন তিনি দর্শনের সঙ্গে একটি ছবি দিয়েছিলেন।এরপর থেকেই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। হত্যা মামলার ঘটনা প্রসঙ্গে, রেণুকাস্বামীকে সুমনাহল্লির কাছে একটি ড্রেনে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। দুই ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, দাবি করে যে তারা আর্থিক বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করেছে। কিন্তু পুলিশ দর্শন এবং পবিত্রার হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা পরে জানতে পারেন।