সম্পর্কে নিরাপত্তার অভাব, কী করবেন?
নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় আছে, ভালোবাসায় ভালোবাসা বেঁধে যে রাখে সেই পৃথিবীর সবথেকে বেশি সুখী। বিপদে পড়লে ভালবাসার মানুষটি আগলে রাখবে এটাই সবাই চায়। যে কোনও সম্পর্কেই এই নিরাপত্তার বোধটা থাকা খুব জরুরি। তবে বিপদে পড়লে ভালোবাসার মানুষটিই যখন সবার আগে হাত ছেড়ে যায়, তখনই মানুষ চেনা যায়। আর ভালোবাসা তখন ঘৃণায় পরিণত হয়। আসলে সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারে নিরাপত্তার অভাব। এমন অবস্থায় নিশ্চয়ই ভাবছেন, কোন উপায়ে সম্পর্ক সুন্দর হবে?
প্রথমত, মন খুলে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। নির্দ্বিধায় মনের কথা ভাগ করে নিন। অনেক সময়ে সম্পর্কে থাকাকালীন একজন অন্যজনকে কিছু কথা আড়াল করার চেষ্টা করেন। তখনই সঙ্গী বিশ্বাসহীনতা, নিরপত্তার অভাবে ভুগতে থাকে। তখনই সম্পর্কে ফাটলের সৃষ্টি হয়।
দ্বিতীয়ত, সঙ্গীকে কথা বলতে দিন। তিনি যদি কোনও সমস্যায় থাকেন, তার মন বোঝার চেষ্টা করুন। তিনি কী চাইছেন বুঝে তাঁর পাশে দাঁড়ান। তাঁকে মানসিক সমর্থন দিন। তিনি যদি নিজের কাজ নিয়ে চিন্তায় থাকেন তাহলে তাঁকে ভুলভাল অযৌক্তিক কথা না বলে মানসিক শান্তি দিন।
তৃতীয়ত, সব সম্পর্কের ভিত হল বিশ্বাস। তা এক বার নড়ে গেলেই নিরাপত্তার অভাব তৈরি হয়। তাই সম্পর্কে থাকাকালীন সবসময় একে অপরকে সত্যি কথা বলুন।
চতুর্থত, সমস্ত সম্পর্কেই নিজস্ব একটি স্বাধীনতার জায়গা আছে। সেই পরিসরে একে অপরকে ঢুকতে দিলে, নজরদারি চালালে সম্পর্কে খুব তাড়াতাড়ি ফাটলের সৃষ্টি হতে পারে। যেমন ধরুন, অফিস থেকে বেরিয়ে সঙ্গী যদি বারবার ফোন করে আপনি কোথায় জানতে চায়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বিরক্ত হতে পারেন, সেই সময়টা সহকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটান।
আর পঞ্চমত, ভালবাসার মানুষ সুখের পাশাপাশি দুঃখের দিনেও থাকবে, কোনও অবস্থাতেই ছেড়ে যাবে না, এই ভাবনাই সম্পর্ককে মজবুত করে তোলে। তাই কাছের মানুষের সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করুন। এবং একে অপরের নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠুন।