ডাইনি সন্দেহে মহিলার দুই কানে লোহার শিকের খোঁচা, অর্ধনগ্ন করে মারধর
নিজস্ব প্রতিনিধি: গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। কোনও ওষুধই কাজ করছে না। শেষে সন্দেহ গিয়ে পড়ে গ্রামের এক মহিলার ওপর। গুজব রটে তিনিই নাকি ডাইনি(Witch)। আর সেই অপবাদেই সেই মহিলার ওপর চলল অকথ্য নির্যাতন। অর্ধনগ্ন করে মারধর করার পাশাপাশি তাঁর দুই কানে লোহার শিকের খোঁচা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। কাঠগড়ায় সেই পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামী। চরম লজ্জাকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরবঙ্গের(North Bengal) মালদা জেলার(Malda District) পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত(Bhabuk GP) এলাকায়। এই ঘটনায় গ্রামের গুণি ওঝা সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা৷ যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ(Police)। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তরা পলাতক। সব থেকে বড় কথা যখন দেশের রাষ্ট্রপতি একজন মহিলা, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, তখনও সমাজের একশ্রেনীর মানুষের মনে ডাইনি প্রথা বিদায় নিতে পারছে না।
জানা গিয়েছে, গ্রামের ওই পঞ্চায়েত সদস্যা বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এরপরই সন্দেহ গিয়ে পড়ে গ্রামের নির্যাতিতা ওই মহিলার ওপর। অভিযোগ, ওই মহিলাকে পাশের গ্রামের এক গুণিনের কাছে নিয়ে যান ওই পঞ্চায়েত সদস্যার লোকজন৷ সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিবেশী আরও এক মহিলাকে৷ অভিযোগ, অনেকটা সময় ধরে তুকতাকের পর গুণিন ওঝা ওই মহিলার দুই কানে লোহার শিকের খোঁচা দিয়ে তাঁকে ডাইনি ঘোষণা করেন৷ এরপরেই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী ও দলের লোকজন মহিলাকে বেধড়ক মারধর করা শুরু করেন৷ পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী ওই মহিলার গলা টিপেও খুনের চেষ্টাও করেন৷ তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে ব্যাপক মার খেতে হয় তাঁর প্রতিবেশীকেও৷ পরদিন ফের তাঁদের দু’জনকে অর্ধনগ্ন করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ৷ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা৷ শেষ পর্যন্ত খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।