ডোপিংয়ের অভিযোগে চার বছরের জন্য নির্বাসিত বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিষিদ্ধ ওষুধ নেওয়ার দায়ে চার বছরের জন্য নির্বাসিত হলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা পল পগবা। তাঁকে নির্বাসিত করেছে ইতালির অ্যান্টি ডোপিং ট্রাইব্যুনাল। নির্বাসন চলাকালীন জুভেন্টাসের পাশাপাশি জাতীয় দলের হয়েও খেলতে পারবেন না পোগবা। যদিও শাস্তির বিরুদ্ধে সুইস কোর্ট অফ আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টসের কাছে আবেদন করার সুযোগ থাকছে জুভেন্টাস তারকার।
গত বছরের ২০ আগস্ট সিরি আ’য় জুভেন্টাস–উদিনেস ম্যাচের পরেই পোগবার ডোপ টেস্ট করা হয়। তখনই তাঁর শরীরে টেস্টোস্টেরনের (পুরুষদের প্রধান স্টেরয়েড হরমোন, যা শুক্রাশয়ে উৎপন্ন হয়) মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। এর জেরে ১১ সেপ্টেম্বর পোগবাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও জুভেন্টাসের তারকা ফুটবলার দাবি করেন, ‘নিষিদ্ধ ড্রাগ গ্রহণের বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। আমেরিকায় থাকা এক চিকিৎসক বন্ধু তাঁকে একটি ওষুধ নিতে বলেছিলেন, তবে সেটিতে টেস্টোস্টেরনের উপস্থিতির বিষয়টি তিনি জানতেন না।’ যদিও নিজের দাবি প্রমাণে ব্যর্থ হন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার।
আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, নিষিদ্ধ ওষুধ গ্রহণের দায়ে পোগবাকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত করার অনুরোধ জানিয়েছিল ইতালির প্রসিকিউটর কার্যালয়। সেই অনুরোধ মেনে নিয়েছে অ্যান্টি–ডোপিং ট্রাইব্যুনাল। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা পোগবা চোটের কারণে কাতার বিশ্বকাপে অবশ্য খেলতে পারেননি। ২০২২ সালে জুভেন্টাসে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ২০২৬ পর্যন্ত ইতালির ক্লাবটির সঙ্গে তাঁর চুক্তি রয়েছে। ফ্রান্সের জার্সি গায়ে ৯১টি ম্যাচ খেলে ১১টি গোল করেছেন এই মিডফিল্ডার। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও জুভেন্টাসে দুই দফায় মোট ৪২৩ ম্যাচ খেলে করেছেন ৭৩ গোল। চার বছরের জন্য নির্বাসিত হওয়ায় ২০২৬ সালে পরবর্তী বিশ্বকাপে ফ্রান্সের জার্সি গায়ে তাঁর খেলা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।